ভারতের অজ্ঞাত এক বীর বিপ্লবীর জীবন কথা ' বিপ্লবী – বিক্রমী –বিজ্ঞা’
সমীরণ দাস,
দূর্গাপুরঃ ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের পাতা থেকে অজ্ঞাত রয়ে গেছে
বহু স্বাধীনতা সংগ্রামীনাম। কালের গতিতে
অতলে হারিয়ে গেছেন তাঁরা। এমনই একজন হলেন
কেনারাম ভট্টাচার্য। ছোটবেলা থেকেই শিক্ষা
,দীক্ষা সব
কিছুতেই একটু আলাদা ছিলেন সবার থেকে। মাত্র
১২ বছর বয়েসে একটি সামান্য কারণে ব্রিটিশ পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তিন মাস জেলও
হয়। আর বাড়ি ফিরে সেই ছোট্ট কেনারাম
গোপনে নাম লেখালেন বিপ্লবীদের খাতায়। কেনারাম তখন এই এলাকার বিপ্লবীদের কাছে এক
নেতৃত্বের দিশারী হয়ে ওঠেন। এলাকার
বিপ্লবীরা যোগাযোগ করতে থাকেন কেনারামের সঙ্গে। গোপনে গোপনে কেনারাম গড়ে তোলেন এক
চরমপন্থী বিপ্লবী গোষ্ঠী। পুলিশের কাছে খবর যেতেই কেনারামকে ধরতে আসে পুলিশ। কেনার পালিয়ে ,লুকিয়ে পড়েন কাঁকসার জঙ্গলে। এরপর অনেক ঘটনা। পালিয়ে এসেছিলেন কলকাতায়।
এখানেই তার কর্মস্থল হয়ে যায় যাত্রা। কেনারাম হয়ে জেসন প্রফুল্লকুমার। আর পদবি হয়ে যায় গঙ্গোপাধায়। পুলিশ আর টিকিটিও খুঁজে পাননি কেনারামের। এখানে
অভিনয়ের আড়ালেই চলে বিপ্লবী কর্মকান্ড।
এরকমই নানা চাঞ্চল্যকর কাহিনীতে ভরা বিপ্লবী কেনারাম ওরফে
প্রফুল্লকুমারের জীবন কাহিনী।প্রসঙ্গতঃ কর্ম আর্থিক অনটন থাকা সত্বেও তিনি
প্রত্যাখ্যান করেছিলেন তাম্ৰফলক ও ভাতা।
তাঁর পুত্র
শ্রীমন্ত গঙ্গোপাধ্যায় ,
তাঁর জীবনের নানা কথা নিয়ে একটি আত্মজীবনী লিখেছেন। সেটি ৫০০ পাতার। ‘ বিপ্লবী – বিক্রমী –বিজ্ঞা’ এই আত্মজিবনীটি
খুব শিঘ্রই প্রকাশিত হবে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন