রাজ্যের অনেক ক্রীড়া সংগঠক অলিম্পিকের অভিজ্ঞতা নিয়ে দেশে ফিরছেন

  অলিম্পিক শেষ ,অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে দেশে ফিরছেন শিলিগুড়ির প্রাক্তন শিক্ষক  দুই ভাই 



কুশল দাশগু , শিলিগুড়িঃ প্রতি অলিম্পিকে রাজ্য থেকে বিভিন্ন ক্রীড়া ক্ষেত্রের মানুষজনদের পাঠানো হয় নানা ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের জন্য । এবারো গিয়েছিলেন অনেক ক্রীড়া সংগঠক । উত্তরবঙ্গ থেকে প্রাক্তন দুই শিক্ষক গিয়েছিলেন।    অলিম্পিক শেষ, এবার  দেশে ফিরছেন দুই ভাই ,  বিদ্যুৎ বসাক এবং বিপ্লব বসাক। প্যারিস থেকে তারা রওনা দেবে, দেশের উদ্দেশ্যে।  জানালেন" দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ " দেখে আসলাম। দেখলাম অনেক কিছু, শিখলামও, সবচাইতে বড় কথা  সারা পৃথিবীর থেকে আসা ক্রীড়া প্রেমী দর্শকদের সাথে কথা বললাম। অনেকেই এসেছেন নিজের দেশকে সাপোর্ট করতে, জিতলে খুশি হয়েছেন, হারলে কষ্ট পেয়েছেন। বেশ কিছু খেলা তারা  দেখলেন, জানালেন টিকিটের অনেক দাম, কাজে আমাদের পক্ষে সব খেলা দেখা একেবারেই সম্ভব ছিল না। সবচেয়ে খারাপ লাগলো ভিনেশ ফোকটের ঘটনাটা। এত দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেও দুর্ভাগ্যের কারণে তাকে প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নিতে হলো। এই কষ্ট শুধু ওর একার নয় আমাদের ভারতবর্ষের  সব মানুষেরও। ওর রূপটা অন্তত পাওয়া উচিত ছিল, যেভাবে একাই তিন জনকে বিশেষ করে যারা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন তাদের হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল, সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক যেমন ওর কাছে তেমনি আমাদের ভারতবাসীর কাছেও। প্যারিস অলিম্পিক আমাদের কাছে এক রূপকথার মত, জানালেন বিদ্যুৎ বসাক, রাতের প্যারিস এত মায়াবী নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায়  না, সবাই যখন শুনলেন আমরা অলিম্পিক দেখতে এসেছি, সবার কাছ থেকে যে অভ্যর্থনা পেলাম সেটা জীবনে ভুলবো না। জানালেন বিদ্যুৎ বসাক, আসলে এরপরে তো কোন খেলা থাকে না সর্বোচ্চ পর্যায়ের খেলা দেখেই ফিরছি আমরা। দেখলাম বিশ্বমানের সব খেলোয়ারদের, তাদের খেলা ফিটনেস এক জ্বলন্ত উদাহরণ হয়ে থাকলো আমাদের কাছে। দেশে ফিরে হয়তো সেইটাই ভাগ করে দেবো আমাদের দেশে ছোট ছোট কিশোর এবং কিশোরীদের মধ্যে যারা খেলাধুলা করে। সবচাইতে বড় কথা  তাদের মানসিকতা, এটা সত্যিই দেখবার মত। পেডিয়ামের উঠে  যখন তারা সোনা, রুপো  অথবা ব্রোঞ্জের মেডেল গলায় ঝুলাচ্ছে তখন তাদের মধ্যে যে আবেগ দেশের জন্য এটাই মন ছুঁয়ে যায় আমাদের জানালেন বিদ্যুৎ বসাক। প্যারে শেষে প্রচুর বাঙালির সাথে আলাপ হয়েছে সারা বিভিন্নভাবে এখানে এসে নাগরিকত্ব নিয়ে বসবাস করছেন। তবে একটাই কথা, যে কদিন থাকলাম এই মায়াবী শহরে  মন ভরে গেল। বাড়িতে ফিরেও হয়তো আরো অনেকদিন   আমাদের মনে থাকবে এই প্যারিস অলিম্পিক, জানালেন বিদ্যুৎ বসাক।

মন্তব্যসমূহ