শহীদ ক্ষুদিরাম বসুর আত্মবলিদান দিবস

আজ শহীদ ক্ষুদিরামের ১১৭ তম আত্ম বলিদান দিবস 



কুশল দাশগুপ্ত , নিজস্ব সংবাদদাতাঃ আজ শহীদ ক্ষুদিরাম বোসের ১১৭ তম আত্ম বলিদান দিবস। তাই গোটা বাংলা জুড়ে আজকের দিনটিতে  তাকে স্মরণ করছেন বাংলা বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ। স্মরণ করছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। আকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূল কংগ্রেসের সব শীর্ষ নেতৃত্ব। তাকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিয়েছেন বিরোধী দলের নেতারাও। 

১৯০৮ সালের ১১ অগাস্ট , মুজফফর পুর ষড়যন্ত্র মামলার মুল অভিযুক্ত হিসেবে তত কালীন ব্রিটিশ সরকার স্বাধীনতা আন্দোলনের সর্ব কনিষ্ঠ কিশোর ক্ষুদিরাম বসুকে ফাঁসিকাঠে মৃত্যু দেয় । সেই সময়ে তাঁর বয়েস মাত্র ১৮ ।  পরবর্তীতে মজফফরপুর সংশোধনাগারের নাম বদল করে শহীদ ক্ষুদিরাম বসুর নামে পরিবর্তন করা হয়। 

শহীদ ক্ষুদিরামের ১১৭ তম আত্ম বলিদান দিবস, এই উপলক্ষে শহীদ ক্ষুদিরাম বোস সরণিতে তার স্মৃতির উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিলেন শিলিগুড়ি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ এবং বিজেপির অন্যান্য নেতৃত্ব। এদিন বিধায়ক জানান আমাদের কাছে শহীদ ক্ষুদিরাম বোস একজন অসাধারণআত্মত্যাগী মানুষ। তিনি তার ত্যাগের মাধ্যম দিয়ে দেশবাসীকে নিজের জীবন উৎসর্গ করে গেছেন। তাকে বলা হয়েছিল একটা মিথ্যা কথা বললেই তার সমস্ত দোষ মাফ করে দেওয়া হবে, কিন্তু তিনি সেটা কখনোই চাননি, দেশের জন্য তিনি ছিলেন নিবেদিত প্রাণ। তার কাজ তার আদর্শ এবং তার দেশের প্রতি ভালোবাসা আমাদের তার কাছে তাকে স্মরণীয় করে রেখেছে। শহীদ ক্ষুদিরাম বোস আমাদের কাছে একজন ঈশ্বর প্রদত্ত প্রতিভা। তার কথা তার সৃষ্টি ইতিহাসের পাতাতে তাকে চির স্মরণীয় করে রেখেছে। তিনি দেশের জন্য নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে রেখেছেন। তার কথায় সেই সময় যুব সমাজ জাদুর মত চলতো। আজকে তার আত্ম বলিদান দিবস, আমরা অনেক সৌভাগ্যবান তার আত্ম বলিদান কে  স্মরণীয় করে রাখবার জন্য, নিজের মতো করে চেষ্টা করে চলেছি। এদিন শরীরে স্মৃতিতে মালা গিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন দার্জিলিং জেলা বিজেপির মন্ডল কমিটির সকল সদস্য এবং সমর্থকেরা।

 শিলিগুড়িতে আজ ক্ষুদিরাম বসুকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিয়ে  স্মরণ করলেন দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি পাপিয়া ঘোষ। তিনি জানালেন একেবারে ভয় দেওয়ার হীন এই সংগ্রামী বিপ্লবী  আমাদের মাঝে চিরকাল স্মরনীয় হয়ে থাকবেন, দেশের জন্য তার আত্ম বলিদান কখনোই বৃথা যাবে না। তাকে একটা মিথ্যা কথা বলতে বলা হয়েছিল, যেটা বললে হয়তো তিনি মুক্তি পেতেন, কিন্তু চিনি সেটা বলতে চাননি  তার কথা তার বাণী, আমাদেরকে তার কাছে  নিয়ে গেছে। তিনি দেশকে এত ভালবাসতেন  তিনি দেশের জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করতে পর্যন্ত দ্বিধা করেন নি। আজকে এত বছর পরেও আমরা তার কথা স্মরণ করছি তার কাজ এবং তার আত্মত্যাগের জন্য, কিন্তু ইংরেজদের রক্ত চক্ষুকে  ভয় পাননি, বরঞ্চ তার সাথে সাহসের সাথে লড়াই করেছে, তাই আজ তারা তো বলিদান দিবসে আমার পক্ষ থেকে তার জন্য থাকলো  শ্রদ্ধাঞ্জলি। তিনি আমাদের হৃদয়ে অমর হয়ে বাস করবেন, ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে বিপ্লবী বীর শহীদ ক্ষুদিরামের কথা  শুধু বাংলা কেন সারা ভারতের মানুষমনে করবে এবং মনে রাখবে।


মন্তব্যসমূহ