ভোট বয়কটের হুঁশিয়ারি মালদা জেলা কৃষান জাতি সেবা সমিতির
বিশেষ সংবাদদাতা , মালদা , ১৬ মার্চঃ বহু আন্দোলন সংগ্রামের পরও এস টি শংসাপত্র সহ সরকারি একাধিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত তারা। তাই এবার কোন রাজনৈতিক দলকে সমর্থন নয়,লোকসভা নির্বাচনের প্রাক মুহুর্তে সরাসরি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে ভোট বয়কটের হুঁশিয়ারি মালদা জেলা কৃষান জাতি সেবা সমিতির। গোটা উত্তরবঙ্গে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষের উপর কৃষাণ জনজাতির বসতি রয়েছে। মালদা জেলার মানিকচক , গাজোল সহ বিভিন্ন ব্লকে সেই সংখ্যা প্রায় পঞ্চাশ হাজার। কৃষাণ জাতির বাসিন্দাদের অভিযোগ তাদের এস টি শংসাপত্র না থাকার কারণে শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তারা বঞ্চিত সরকারি একাধিক পরিষেবা থেকে । মালদা জেলা কৃষাণজাতি সেবা সমিতির সম্পাদক আশীষ মন্ডল জানান, আমরা ৪০ বছর ধরে কৃষাণ জাতির জন্য এস টি শংসাপত্রের জন্য লড়াই করে আসছি। মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কিন্তু তারপরও সেই প্রতিশ্রুতি আজও পূরণ হয়নি। এমনকি মালদায় প্রশাসনিক বৈঠকে এসেও মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু এখনো আমরা বঞ্চিত। তাই আমরা এবার লোকসভা ভোটে কোন রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করবো না। আলোচনা করে আগামীতে ভোট বয়কটের পথে আমরা হাঁটতে পারি।
এদিকে কৃষান জনজাতির এই হুঁশিয়ারিতে লেগেছে রাজনৈতিক ছোঁয়া। মালদা জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি জানান, ভোট বয়কট করা ভারতবর্ষের নাগরিক হিসেবে কখনো উচিত নয়। তৃণমূলের এই সরকার তাদের বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এস টি শংসাপত্র করে দেওয়ার জন্য। গত বিধানসভা ভোটেও আমরা দেখেছি। তবে তাদের পাশে বিজেপি সরকার রয়েছে।
পাল্টা কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। মালদা জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি, শুভময় বসু জানান, কৃষাণ জাতির বিহারে এস টি শংসাপত্র আছে। বাংলায় নেই এই দাবি নিয়ে তারা বহুদিন ধরে আন্দোলন করছে। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী তাদের প্রতি সহানুভূতি হয়ে, রাজ্য সরকারের যে প্রস্তাব কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত এখন কেন্দ্রীয় সরকারকে নিতে হবে। তবে তারা যাতে ভোট বয়কটের পথে না যায়। মমতা ব্যানার্জির সরকার তাদের পাশে রয়েছে। ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন