মালদহে ধর্মস্তম্ভের পুনঃনির্মাণ

 মালদহে  ধর্মস্তম্ভের পুনঃনির্মাণের কাজ শুরু



বিশেষ সংবাদদাতা ,  মালদা , ২৯ফেব্রুয়ারী: রবীন্দ্রনাথের স্নেহধন্য বিশিষ্ট পণ্ডিত বিধূশেখর শাস্ত্রী কে? তা জানতেনই না তারই এলাকার নেতা নেত্রী মন্ত্রী থেকে শুরু করে জন-প্রতিনিধিরা। তার এলাকাতে আঁধারেই ছিল বিধূশেখর বাবুর পান্ডিত্যের গৌরবময় ইতিহাস। কারণ অভাব ছিল সরকারি উদ্যোগের। বৃহস্পতিবার বিধূশেখর শাস্ত্রীর এলাকাতে তার তৈরি করে যাওয়া ধর্মস্তম্ভের পুনঃনির্মাণের কাজ শুরু হতেই সামনে এলো পান্ডিত্যের সেই ইতিহাস।যা শুনে অবাক উপস্থিত নেতা, মন্ত্রী এবং জন-প্রতিনিধিরা। তারা নিজের মুখেই বললেন এতদিন তারা সেই ইতিহাস জানতেন না।এ যেন অনেকটা দেরিতে হলেও সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয়।নিজের এলাকায় যথাযোগ্য সম্মান পেলেন বিদগ্ধ এই পন্ডিত। প্রখ্যাত বাঙালি পন্ডিত বিধূশেখর শাস্ত্রী ছিলেন মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরের ভূমিপুত্র। তিনি নিজের এলাকায় গড়গড়ি মাঠ সংলগ্ন তেতুল বাড়িতে ন্যায় এবং শিক্ষার প্রতীক হিসাবে ধর্মস্তম্ভ স্থাপন করে ছিলেন। কিন্তু সংরক্ষণ এবং পরিচর্যার অভাবে সময়ের সঙ্গে সেই ধর্মস্তম্ভ ভগ্নপ্রায় হয়ে যায়। তেমন ভাবেই সেই ধর্মস্তম্ভ স্থাপনের উদ্দেশ্য এবং মহান এই পণ্ডিতের ইতিহাস নিয়ে অজ্ঞাত থেকে যান এলাকার নতুন প্রজন্ম। এমন কি যারা জন-প্রতিনিধি তারাও জানতেন না সঠিক ইতিহাস। জেলা শাসকের নজরে আসে এই ধর্মস্তম্ভের বেহাল দশা। তারপরে জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া এই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বৃহস্পতিবার পঞ্চম রাজ্য অর্থ কমিশনের বরাদ্দকৃত প্রায় ২০ লক্ষ টাকা অর্থব্যায়ে এই ধর্মস্তম্ভ পুনর্নবীকরণের কাজের উদ্বোধন হয় স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেনের হাত ধরে।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এসডিও সৌভিক মুখার্জি, জেলা পরিষদ সদস্যা মর্জিনা খাতুন, রবিউল ইসলাম, চুমকি দাস, বিডিও সৌমেন মন্ডল, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তহমিনা খাতুন প্রমুখ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিধুশেখর বাবুর পরিবারের উত্তরসূরী ড: উদ্দালোক ভট্টাচার্য স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে উনার গৌরবময় ইতিহাস তুলে ধরেন। রবীন্দ্রনাথের স্নেহধন্য এই মহান পন্ডিত দীর্ঘদিন শান্তিনিকেতনের শিক্ষাদানে যুক্ত ছিলেন।বিশ্বভারতীকে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য বিদ্যার মিলনক্ষেত্র রূপে তুলে ধরার প্রধান পথিকৃৎ ছিলেন তিনি। গান্ধী অনুগামী হওয়ায় চরকা আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। তার এই ইতিহাস শুনে অবাক উপস্থিতি অতিথিবর্গ। কারণ তাদের কাছেও সেই ইতিহাস অজানা ছিল।

মন্তব্যসমূহ