তিন রাজ্যের নির্বাচনে তৃণমুল কংগ্রেসকে গ্রহণ করল না গণদেওতা

 

তৃণমুল কংগ্রেস তিন রাজ্যের সঙ্গে নিজের রাজ্যেও নির্বাচনে ভরাডুবি 



বিশেষ সংবাদদাতা , কলকাতা , ২ মার্চঃ অনেক আশা নিয়ে দেশের তিন রাজ্যে নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছিল পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমুল কংগ্রেস। লক্ষ্য ছিল নিজের রাজ্যের উপনির্বাচনে একটা সম্মানজনক মার্জিনে জয়লাভ করে , নিজেদের জেতা আসন দখলে রাখা। আর ভিন রাজ্যে যে করেই হোক একটা রাজ্যে ক্ষমতা দখল করে , অন্য রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল হলেও চলবে , এমন মনোভাব ।  এটার পিছনে প্রত্যক্ষ কারণ ছিল , সামনের পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলকে অক্সিজেন দিয়ে চাঙ্গা করে নির্বাচনী ময়দানে জয়লাভ করার দিকে এগিয়ে যাওয়া । আর ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে জাতীয় দলের মর্যাদা নিয়ে , সর্ব ভারতীয় একটা ইমেজ তৈরি করে সারা দেশে বিরোধী ঐক্যের নেতৃত্ব দেওয়া। এর জন্য তৃণমুল সুপ্রিমো সর্ব শক্তি দিয়ে ঝাপিয়েছিলেন , সঙ্গে আবার অভিষেক । তিন রাজ্যের ভোটাররা অবাক হয়ে দেখেছে তৃণমুলের প্রচার কৌশল ও খরচার বহর ।  বাস্তবটা যে এমন হবে কল্পনাতে আনতে পারে নি তৃণমুল নেতৃত্ব । নিজের রাজ্যে , মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির উপনির্বাচনে যেমন গো হারা হারতে হয়েছে কংগ্রেস- বামজোটের প্রার্থী , বায়রন বিশ্বাসের কাছে , তেমনি ভিন রাজ্য , ত্রিপুরা বা মেঘালয়কে পাখির চোখ করেছিল তৃণমুল কংগ্রেস , সেখানেও ভরাডুবি। নাগাল্যান্ড এর ফলাফল অবশ্য জানাই ছিল কি হবে ।  যাদের বিরুদ্ধে লড়াই , সেই বি জে পি , ওই তিন রাজ্যে সরকার গড়ছে । আর ২০২৪ এর সেমি ফাইনালে যে কয়েক কদম এগিয়ে গেল , সেটা অতিবড় রাজনৈতিক গবেষকরাও অকপটে স্বীকার করে নিচ্ছেন। এদিকে তৃণমুল যে তাদের জনপ্রিয়তা ও বিশ্বাস যোগ্যতা কতটা হারিয়েছে , সেটার প্রমাণ যে এই ফলাফল , সেটাও তারা বলছেন । 

এদিকে রাজ্যে কংগ্রেস ও বাম জোটের খাতা খুলল। এটাকে জোটের সবাই এক বাক্যে বলতে শুরু করে দিল , যে রাজ্যে পরিবর্তনের লক্ষ্যে যে বিকল্প শক্তি এই জোট হয়ে উঠছে , সেটা জনমানসে সুচনা হয়ে গেল। আর এই সঙ্গে বলছে , যে রাজ্যের শাসক দলের বিদায় ঘন্টাও বাজা শুরু ।

অন্যদিকে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল অবশ্য উচ্ছ্বাস দেখায়নি ততটা । তারা তুচ্ছ ও তাচ্ছিল্যের সুরেই রাজ্যের শাসক দলকে বিঁধতে শুরু করেছে। 

এদিকে সারা রাজ্যজুড়ে তিন রাজ্যের জয় নিয়ে আনন্দ ও বিজয় মিছিল বেরিয়েছে । ত্রিপুরাতে জয়ের পরে উল্লাসে মেতে উঠল বিজেপী।আজ শিলিগুড়ির হিলকার্ড রোডে এক বিজয় মিছিল বের করল তারা।আজ দুপুরে বিজেপীর তরফ থেকে এক বিশাল মিছিল বের করা হয় বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের তরফ থেকে। আজ বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ জানান এত কিছু করেও বিজেপীকে আটকানো গেল না।আর আগামী লোকসভাতেও আটকানো যাবে না। বিজেপী সারা ভারতকে সুরক্ষা দিতে এসেছে। কোন রাজনৈতিক দলের পক্ষে বিজেপীকে আটকানো যাবে না। সারা ভারতের জন্য ভারতীয় জনতা পার্টি একমাত্র দল যারা গোটা দেশকে সুরক্ষা দিতে পারে। বিজেপীর তরফ থেকে এদিন এক বিশাল শোভাযাত্রা বের করা হয়,শিলিগুড়ির হিলকার্ড রোড সেবক রোড এবং বর্ধমান রোডে আবির নিয়ে বিজয়ল্লাসে মেতে ওঠে ভারতীয় জনতা দলের সমর্থকেরা। উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির মন্ডল সভাপতি এবং তার সহকর্মীরা। বিজেপীর তরফ থেকে একটি বিশাল মিষ্টির হাড়ি নিয়ে গোটা রাস্তার মানুষের কাছে পৌছানো হয়।

মন্তব্যসমূহ