মাধ্যমিকের দ্বিতীয় দিন নির্বিঘ্নে

 

প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের কথা উঠলেও মাধ্যমিকের দ্বিতীয় দিন নির্বিঘ্নে 



কুশল দাশগুপ্ত ও সজল দাশগুপ্ত , কলকাতা ও উত্তরবঙ্গ , ২৪ ফেব্রুয়ারিঃ আজ ছিল এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার দ্বিতীয় দিন । গতকাল ছিল বাংলা পরীক্ষা । প্রথম দিনের পরীক্ষা নিয়ে কন অভিযোগ না উঠলেও । আজ ইংরেজি পরীক্ষা নিয়ে রাজনৈতিক ভাবে বিরোধী দলের এক নেতার করা ( রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ) ট্যুইটকে ঘিরে একটু শোরগোল উঠেছে । রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের রাজ্য সভাপতির করা ট্যুইটকে নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে একটি মহল। তাতে তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ইংরেজি প্রশ্ন পত্র ফাস হয়েছে কিনা সেই বিষয়ে। অই ট্যুইটে তিনি একটি প্রস্ন পত্র প্রকাশ ও করেন। তাতে অবশ্য পর্ষদের কোন শীল ছাপ অবশ্য দেখা যায়নি। বামপন্থী দলের এক নেতাও একই ধরনের ট্যুইট করেছেন । যদিও পর্ষদের একটি সুত্র এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এদিকে নির্বিঘ্নে প্রথম দিনের মত , দ্বিতীয় দিনেও ছাত্র - ছাত্রীদের তরফে কোন অভিযোগ নেই বলে জানা গেছে । অন্য দিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্বাস , যে পরীক্ষা খারাপ হলেও মনে ভয় না আনার কথা সংবাদ মাধ্যে আসার পর পরীক্ষার্থীরা দ্বিগুণ উৎসাহে পরীক্ষা দিচ্ছে বলে আজ পরীক্ষা শেষে কয়েকজন পরীক্ষার্থী জানান। 

মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার প্রথম দিনে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। রাজগঞ্জ এলাকায় পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় হাতির হানায় মৃত্যু হয় এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর। পরীক্ষার্থীর নাম অর্জুন দাস, এরপর এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনদপ্তরকে তৎপর হওয়ার ব্যাপারে নির্দেশ দেন। সেই মতো আজ আলিপুরদুয়ারের বক্সা ,জয়ন্তী, রাজাভাতখাওয়া, সহ বিভিন্ন প্রান্তিক ও প্রত্যন্ত গ্রামগুলি থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের বনদপ্তরের গাড়ি করে নির্দিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরীক্ষা চলাকালীন বনদপ্তরের কর্মীরা সংলগ্ন জঙ্গল এলাকায় করা পাহারা ও নজরদারি চালান। এর মধ্যে সংলগ্ন একটি গ্রাম থেকে একজন মাত্র পরীক্ষার্থী ছিল, তাকে বিশেষ গাড়ি করে নির্দিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হয়। অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে এদিন কাজ করেছেন বনদপ্তরের কর্মীরা।

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে স্পেশাল সরকারি বাস এবং বনদপ্তরের গাড়িতে করে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের পরিষেবা জলপাইগুড়িতে। হাতির হানায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মৃত্যু জলপাইগুড়ি  টাকিমারী এলাকায় শোকের ছায়া। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন। পরীক্ষার্থীদের জন্য স্পেশাল  বাসের ব্যবস্থার নির্দেশ দেন ওই এলাকায়। শুক্রবার জেলা শাসক মৌমিতা গোদরা,  রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়,  ফরেস্টের আধিকারিকরা পৌঁছে যান মৃত পরীক্ষার্থীর বাড়িতে পরিবারের সাথে দেখা করেন। এবং কে তুলে দেন। এদিন সরকারি ভাবে এক্সট্রা স্পেশাল বাস এবং ফরেস্টের গাড়ি ব্যবস্থা করা হয় ওই এলাকায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য।এদিন সকাল থেকেই চলছে সচেতনতা মাইকিং প্রচার। ফরেস্ট এলাকা দিয়ে পুরোপুরি বন্ধ যাতায়াত। বনকর্মীরা নজরদারি চালাচ্ছে ফরেস্ট এলাকায়।

যুদ্ধকালীন তৎপরতা নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের পৌছে দেবার ব্যাবস্থা করা হয় প্রশাসনের তরফ থেকে।আজ সকালে রাজগঞ্জ এলাকায় মোট 39 জন মাধ্যমিক পরিক্ষার্থীদের গাড়িতে করে পৌছে দেবার ব্যাবস্থা করে প্রশাসন। শুধু তাই নয় তাদের জন্য জল এবং খাবারের ব্যাবস্থাও করা হয় প্রশাসনের তরফ থেকে। আরো জানা গেছে মোট ছটি বাস যোগার করে যেকদিন মাধ্যমিক পরিক্ষা আছে সেই কদিন ছাত্রছাত্রীদের পৌছে দেওয়া হবে। যাতে তাদের অভিভাবকেরা নিশ্চিত থাকেন।

মন্তব্যসমূহ