ছট পুজো সম্পন্ন হল সারা দেশের সঙ্গে রাজ্যেও

 শ্রদ্ধায় পালিত ছট পুজো 



বিশেষ প্রতিনিধি , ৩১ অক্টোবরঃ গতকাল সূর্যাস্ত ও আজ সূর্যোদয়। গঙ্গার ঘাট থেকে পাড়ার জলাশয়ে , পুন্যার্থীরা শ্রদ্ধায় ছট পুজো করলেন। এদিন সূর্য দেবতাকে নিজের মনের ভক্তিতে পুজো দিয়ে পরিবারের মঙ্গল কামনা করলেন পুন্যাতুর মানুষেরা।

এবারো কলকাতার রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজো করতে দেয়নি প্রশাসন। গ্রীণ ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।  

  ছট পুজো উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গিয়েছিলেন কলকাতার নেতাজি স্পোর্টিং ক্লাবের ছট পুজোর প্রাঙ্গনে। তিনি ছট মাইয়ার কাছে প্রার্থনা করেছেন সবাই যাতে ভালো থাকে, বেকাররা যাতে চাকরি পায়।

মুখ্যমন্ত্রী ক্লাবের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে জানান অপ্রতিকর ঘটনা তারা যেন বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করেন। গত বছর মুখ্যমন্ত্রী  পুজো উপলক্ষে ব্রত রেখেছিলেন। এই বছর ব্রত রেখেছেন কিনা সেই ব্যাপারে জানাননি। তবে তিনি জানান ঠেকুয়া প্রসাদের জন্য অপেক্ষা করে থাকবেন।

মহা অরম্বনের  সাথে সারা দেশের পাশাপাশি ক্রান্তি ব্লকের হরি মন্দিরের পাশে   ফালঝড়া নদী  উপর ছট পূজা অনুষ্ঠিত হল। ক্রান্তি এবং রাজাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন মৌজা থেকে পুণ্যার্থীরা ছট পূজা দিতে আসেন । পাশাপাশি বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী অনেক মানুষ পূজা দেখতে উপস্থিত হন, হরি মন্দির ঘাটে। তথাকথিত নিয়ম অনুযায়ী যারা ছট পূজা করে থাকেন মাথায় করে পায়ে হেঁটে পূজার উপকরণ  এবং প্রসাদ নিয়ে আসেন। অনেকেই আবার মানত ছিল বলে শুয়ে শুয়ে দন্ডি খেটে  ঘাট পর্যন্ত পৌঁছেছেন। ক্রান্তি পুলিশ প্রশাসন ,ক্রান্তি ব্লক প্রশাসন এবং স্থানীয় প্রধান, পঞ্চায়েত তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। এ বিষয়ে পানীয় পঞ্চায়েত সদস্য মিন্টু রায় জানালেন পূজাকে কেন্দ্র করে রাজাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ঘাট পরিষ্কার থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় আলোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পূজা কমিটির পক্ষে সঞ্জীব কুমার সিং জানালেন, প্রতিবারের ন্যায় এ বছরও হরি মন্দিরের সামনে ফালজোড়া নদীর ঘাটে ছট পূজা অনুষ্ঠিত হলো গ্রাম পঞ্চায়েতের সহায়তা এবং পুলিশ প্রশাসন উপস্থিত থাকায় তিনি সকলকে ধন্যবাদ জানাবেন।

ছট্ পূজোতে নিজেই রুটি তৈরী করলেন জেলা সভাপতি।রিতি অনুযায়ী ছট্ পূজোতে তৈরী করতে হয় রুটি। তাই আজ শিলিগুড়িতে ছট্ ব্রতীদের সাথে নিজেই রুটি তৈরী করতে নেমে গেলেন জেলা সভাপতি পাপিয়া ঘোষ। তিনি জানালেন সবার সাথে মিলেমিশে থাকতে গেলে সবকিছু করতেই হয়। আর উৎসবের পুরো ব্যাপারটাই একেবারেই আলাদা। ভগবানের কাছে সবাই এক,গরীব বড়লোক এবং বড় ছোট কিছুই না। ছট্ পূজো এখন বাঙালির উৎসবের মধ্যেই পড়ে। তাই সবার সাথে মিশে এই পূজোতে অংশ নিলাম। এদিন ছট্ ঘাটে উপস্থিত ছিলেন প্রায় কয়েক হাজার ছট্ ব্রতি এবং তাদের পরিবারের লোকজনেরা।তাদের সাথে মিশে গিয়ে একেবারেই সাধারন মানুষের মত হয়ে নিজেই নেমে পড়লেন জেলা সভাপতি পাপিয়া ঘোষ। তার সাথে ছিলেন তারই বাগডোগরা তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য এবং সমর্থকেরা। তিনি এও জানালেন আজ কোন রাজনীতির কথা হবে না।পূজোর সময় পূজো নিয়েই থাকবো আমরা,বলে জানিয়ে দিলেন তিনি।

মন্তব্যসমূহ