জগদ্ধাত্রী পুজোয় মাতোয়ারা বাংলা

 চন্দননগর থেকে শিলিগুড়ি , জগদ্ধাত্রী পুজোয় মেতে উঠেছে বাংলা 


সজল দাশগুপ্ত , ৩১ অক্টোবরঃ    জগদ্ধাত্রী পুজো মানে চন্দননগর, গত দুই বছর করোনা কারণে সেইভাবে অনুষ্ঠিত হতে পারেনি জগদ্ধাত্রী পুজো চন্দননগরে। এবার কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কারণে চতুর্থীর রাত থেকেই চন্দননগরের বিভিন্ন পূজা মন্ডপে দর্শনার্থীদের ঢল লক্ষ্য করা গিয়েছে। চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর মূল আকর্ষণ আলক সজ্জা, পাশাপাশি মন্ডপ সাজা ও প্রতিমা তো আছেই। এদিন রবিবার ছুটি হওয়ার কারণে চন্দননগর সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে থেকে প্রচুর মানুষ ভিড় জমিয়েছেন    পূজো মণ্ডপ গুলিতে। ফলে মন্ডপ গুলিকে দেখা যাচ্ছে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। এদিকে রেল কতৃপক্ষ আগামীকাল থেকে একাদশী পর্যন্ত রেল পরিষেবায় পরিবর্তন এনে চন্দন্নগর পর্যন্ত সারা রাত রেল চালাবে বলে একটি সুত্র জানাচ্ছে। 

চন্দননগরের মত শহর কলকাতাতেও প্রায় আড়াই হাজারের মত জগদ্ধাত্রী পুজো হচ্ছে  । আজ সোমবার থেকে মন্ডপে মন্ডপে উদ্বোধনের ছোঁয়া । অন্যদিকে উত্তরবঙ্গেও জগদ্ধাত্রী পুজোকে কেন্দ্রকরে আরেক উৎসবের মেজাজ । 



শিলিগুড়ির আশ্রমপাড়াতে জগদ্ধাত্রী পূজোর শুভ উদ্বোধন করলেন মেয়র গৌতম দেব। এছাড়াও  উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার এবং এম এম আই সি মানিক দে এবং শ্রাবনী দত্ত। উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলার যতন সাহা,  ছিলেন জগদ্ধাত্রী পূজো কমিটির সভাপতি রাজু দাস। ফিতে কেটে পূজোর উদ্বোধন করলেন মেয়র এবং ডেপুটি মেয়র সহ মেয়র পারিষদেরা। পরে মেয়র জানালেন শিলিগুড়িতে জগদ্ধাত্রী পূজো এখন অনেকগুলি হয় তাদের মধ্যে অন্যতম সেরা এই পূজো । তাই এই পূজোতে উপস্থিত থাকতে ভালো লাগে আমার।সামনের বছরও আমি আসব এখানে।ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার এই পূজোর ভূয়সী প্রশংসা করে জানান একেক দিনে একেক রঙের  এই পূজোর অনুষ্ঠান হয়।তাই আমিও পছন্দ করি এই পূজা। এম এম আই সি এবং স্থানীয় কাউন্সিলার শ্রাবনী দত্ত জানান জগদ্ধাত্রী পূজোর ব্যাপারটাই আলাদা। এই পূজোতে ওয়ার্ডের সব মানুষ উপস্থিত থাকেন এটাই বা কম কিসের।

মন্তব্যসমূহ