আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাল বাজার উদ্ধারকারীদের হাতে তুলে দিলেন পুরষ্কার অর্থ , নিহতদের পরিবারের একজনকে চাকরি
কুশল দাশগুপ্ত , শিলিগুড়ি , ১৮ অক্টোবরঃ ঠাসা কর্মসুচী নিয়ে উত্তরবঙ্গে পৌঁছেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । মালনদীর ঘাটে ভাসান বিপর্যয়ের পর উত্তরবঙ্গ সফরের প্রথম দিনে তেশিমলায় এসে পৌঁছান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
সোমবার মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গ সফর উপলক্ষে সকাল থেকেই মালবাজার শহর, বড়দীঘি হাইস্কুল এবং তেশিমলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রশাসনিক তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। সবচাইতে বেশি তৎপরতা বড়দীঘি ও তেশিমলা এলাকায়। তেশিমলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার প্রধান মোর থেকে বড়দীঘি হাইস্কুল পর্যন্ত ২ কিমি রাজ্য সরকের দু'ধারে অসংখ্য মানুষ দুফুর ১২ টা থেকে নেত্রীকে দু চোখে দেখার জন্যে অধির আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকেন। বিকাল প্রায় ৪ নাগাদ মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে বায়ু সেনার হেলিকপ্টার বড়দীঘি হাইস্কুল মাঠে নামে । সেখানে তাকে স্বাগত জানাতে অপেক্ষায় ছিলেন রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণীর কল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী বুলু চিকবরাইক, মাল পৌর সভার চেয়ারম্যান স্বপন সাহা, জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা বসু, আইজি উত্তরবঙ্গ দেবেন্দ্র প্রসাদ সিং প্রমুখেরা
হেলিপ্যাডে নেমে মুখ্যমন্ত্রী তার স্বভাবসিদ্ধ ভাবে সবাইকে শুভেচ্ছা জানান। নেত্রী গাড়ি থেকেই দুহাত জোর সবাইকে শুভেচ্ছা জানান। এরপর সোজা চলে যান মালবাজার শহরের অভিমুখে।
এরপর ভাসান বিপর্যয়ে মৃতদের বাড়িতে যান।এক এক করে মৃত তপন অধিকারী, সর্নদীপ অধিকারী, শুভাশিস রাহা সহ অন্যান্য পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করেন । অত্যন্ত আবেগের সঙ্গে কথা বলেন পরিবারের সদস্যদের সাথে। পর পর ৬ টি পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন। সেদিনের পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নেন। পরন্ত বিকেলে পায়ে হেটে প্রতি পরিবারের কাছে পৌঁছে যান।
এরপর ফিরে আসেন তেশিমলা এলাকার সেই বেসরকারি লজে। সেখানে রাত কাটিয়ে য়াজ সকাল থেকেই তার কর্মসুচী শুরু করেছেন । আদর্শ বিদ্যা ভবনে প্রশাসনিক বৈঠক , রাজ্য পুলিশের আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনী রয়েছে এই তালিকায় ।
আজকের প্রাসনিক বৈঠকের শুরুতেই সংবর্ধিত করেন উদ্ধারকারিদের । , মঞ্চের একপাশে শহিদ বেদি করা হয়েছিল নিহতদের উদ্ধেশ্যে । এদিন উদ্ধারকারিদের ১ লক্ষ টাকা করে পুরষ্কার দেওয়া হয় , দেওয়া হয় সাহসিকতার সরকারি শংসাপত্র তাঁদের তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন এদের মধ্যে তিনজনকে সিভিক পুলিশে চাকরি দেওয়া হয় ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন