রবিবাসরীয় বেহালার দিন প্রতিদিন অরণ্য দিবস বিশেষ শান্তিনিকেতনের প্রবীণা আশ্রমিক ডঃ সুমিত্রা খাঁ এর কলমে
অরণ্য দিবস বিশেষ
( অরণ্য দিবস
উপলক্ষে শান্তিনিকেতনের প্রবীণা আশ্রমিকের
অন্তরের উপলব্ধি একমাত্র বেহালার দিন প্রতিদিনের পাতায় )
বর্তমান সভ্য সমাজে “ অরন্য দিবস “ পালন এক বিশেষ ভুমিকা পালন করে চলেছে । আজ থেকে বেশ কয়েক বছর আগেও এ বিষয়ে কারোরই কোন হেলদোল ছিল না । আমরা সভ্য জগতের মানুষেরা যতই সভ্যতার চূড়ায় উঠছি , ততই যেন মনে করিয়ে দেয় বিশ্ব কবির কথা – যেখানে আমরা খুঁজে পাই প্রকৃতি প্রেমিক রবীন্দ্রনাথকে , খুঁজে পাই অরণ্য সম্পদকে।
প্রকৃতি প্রেমিক রবীন্দ্রনাথ উপলব্ধি করেন মানুষ তাঁর স্বভাব দোষেই নিজের বিপদ ডেকে আনছে। অরণ্যের প্রতি মমত্ববোধ হারিয়েই তাঁরা আজ নিজেদের সর্বনাশ ডেকে আনছে – তিনি বলেন “ মানুষ অমিতাচারী । যতদিন সে অরণ্যচর ছিল ,ততদিন অরণ্যের সঙ্গে পরিপুর্ণ ছিল তার আদান ,প্রদান । ক্রমে সে যখন নগরবাসী হল , তখন অরণ্যের প্রতি মমত্ববোধ হারাল , সে তাঁর প্রথম সুহৃদ, দেবতার আতিথ্য যে তাকে প্রথম বহন করে এনে দিয়েছিল , সেই তরুলতাকে নির্মমভাবে নির্বিচারে আক্রমণ করল ইট , কাঠের বাসস্থান তৈরি করবার জন্য। আশীর্বাদ নিয়ে এসেছিলেন যে শ্যামলা বনলক্ষ্মী তাকে আজ্ঞা করে মানুষ অভিসম্পাত বিস্তার করলো ……”।
বিশ্বকবি পরিবেশ ভাবনায় উদ্বুদ্ধ হয়েই বারে বারেই’ অরণ্য দেবতাকে’ আহ্বান জানিয়েছেন –
“ দাও ফিরে সে অরণ্য ,লও এ নগর
লও যত লৌহ ,লোষ্ট্র , কাষ্ঠ ও প্রস্তর ,
হে নব সভ্যতা ! হে নিষ্ঠুর সর্বগ্রাসী
দাও সেই তপোবন পূণ্যছায়া রাশি……।“
তিনি এক দূরদৃষ্টি সম্পন্ন পরিবেশবিদ হয়েই সে সময়েই উপলব্ধি করেন – “ সেই অরণ্য নষ্ট হওয়ায় এখন বিপদ আসন্ন। সেই বিপদ থেকে রক্ষা পেতে হলে আবার আমাদের আহ্বান করতে হবে সেই বরদাত্রী বনলক্ষ্মীকে - আবার তিনি রক্ষা করুন এই ভূমিকে , দিন তাঁর ফল , দিন তাঁর ছায়া।‘
তিনি আরও বলেন – “ পৃথিবীর দান গ্রহণ করবার সময় লোভ বেড়ে উঠল মানুষের । অরণ্যের হাত থেকে কৃষিক্ষেত্র জয় করে নিল। অবশেষে কৃষিক্ষেত্রের একাধিপত্য অরণ্যকে হটিয়ে দিতে লাগল । নানা প্রয়োজনে গাছ কেটে পৃথিবীর ছায়া বস্ত্র হরণ করে ,তাকে দিতে লাগল নগ্ন করে। তাতে তাঁর বাতাসকে করতে লাগল উত্তপ্ত , মাটির উর্বরতার ভান্ডারদিতে লাগল নিঃস্ব করে।
অরণ্যের আশ্রয় –হারা আর্যাবর্ত আজ তাই খর তাপে দুঃসহ । এই কথা মনে রেখে, কিছুদিন আগে আমরা করেছিলাম বৃক্ষরোপণ , অরণ্যচারী সন্তান কতৃক লুন্ঠিত মাতৃভান্ডার পূরণ করবার কল্যান উৎসব।
আজ সারা বিশ্বে এই কল্যান উৎসব বিশ্ববাসীকে উদ্বুদ্ধ করেছে ।
অরণ্য সম্পদ হারিয়ে , তথা ধ্বংস করে সভ্য জগতের মানুষ সচেতন হয়েও যেন কছুই করতে পারছেনা । সরকার ও সচেষ্ট অরণ্য সম্পদ রক্ষায়। নানা ভাবে অরণ্য সম্পদকে রক্ষা করার জন্য নিয়েছে নানা পদক্ষেপ। বিভিন্ন গবেষণা পত্রেও ফুটে উঠেছে অরণ্য সম্পদের কথা , তাঁর সংরক্ষণের কথা। এছাড়াও নানান সেমিনার ও আলোচনার মাধ্যমে , শিক্ষা জগতে পাঠ্য পুস্তকের মাধ্যমে , সর্বস্তরের মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। তবেও যেন কিছুই হয়েও হচ্ছেনা। বরং দিনে দিনে হারিয়ে ফেলছি আমাদের অরণ্য সম্পদকে।
বর্তমানে বিপন্ন পরিবেশকে রক্ষা করতে সমবেত স্বরে আজ বলার দিন এসেছে –
“ দাও ফিরে সে অরণ্য ,লও এ নগর
লও যত লৌহ ,লোষ্ট্র , কাষ্ঠ ও প্রস্তর ,
হে নব সভ্যতা ! হে নিষ্ঠুর সর্বগ্রাসী
দাও সেই তপোবন পূণ্যছায়া রাশি……।“
বর্তমান সভ্য সমাজে “ অরন্য দিবস “ পালন এক বিশেষ ভুমিকা পালন করে চলেছে । আজ থেকে বেশ কয়েক বছর আগেও এ বিষয়ে কারোরই কোন হেলদোল ছিল না । আমরা সভ্য জগতের মানুষেরা যতই সভ্যতার চূড়ায় উঠছি , ততই যেন মনে করিয়ে দেয় বিশ্ব কবির কথা – যেখানে আমরা খুঁজে পাই প্রকৃতি প্রেমিক রবীন্দ্রনাথকে , খুঁজে পাই অরণ্য সম্পদকে।
প্রকৃতি প্রেমিক রবীন্দ্রনাথ উপলব্ধি করেন মানুষ তাঁর স্বভাব দোষেই নিজের বিপদ ডেকে আনছে। অরণ্যের প্রতি মমত্ববোধ হারিয়েই তাঁরা আজ নিজেদের সর্বনাশ ডেকে আনছে – তিনি বলেন “ মানুষ অমিতাচারী । যতদিন সে অরণ্যচর ছিল ,ততদিন অরণ্যের সঙ্গে পরিপুর্ণ ছিল তার আদান ,প্রদান । ক্রমে সে যখন নগরবাসী হল , তখন অরণ্যের প্রতি মমত্ববোধ হারাল , সে তাঁর প্রথম সুহৃদ, দেবতার আতিথ্য যে তাকে প্রথম বহন করে এনে দিয়েছিল , সেই তরুলতাকে নির্মমভাবে নির্বিচারে আক্রমণ করল ইট , কাঠের বাসস্থান তৈরি করবার জন্য। আশীর্বাদ নিয়ে এসেছিলেন যে শ্যামলা বনলক্ষ্মী তাকে আজ্ঞা করে মানুষ অভিসম্পাত বিস্তার করলো ……”।
বিশ্বকবি পরিবেশ ভাবনায় উদ্বুদ্ধ হয়েই বারে বারেই’ অরণ্য দেবতাকে’ আহ্বান জানিয়েছেন –
“ দাও ফিরে সে অরণ্য ,লও এ নগর
লও যত লৌহ ,লোষ্ট্র , কাষ্ঠ ও প্রস্তর ,
হে নব সভ্যতা ! হে নিষ্ঠুর সর্বগ্রাসী
দাও সেই তপোবন পূণ্যছায়া রাশি……।“
তিনি এক দূরদৃষ্টি সম্পন্ন পরিবেশবিদ হয়েই সে সময়েই উপলব্ধি করেন – “ সেই অরণ্য নষ্ট হওয়ায় এখন বিপদ আসন্ন। সেই বিপদ থেকে রক্ষা পেতে হলে আবার আমাদের আহ্বান করতে হবে সেই বরদাত্রী বনলক্ষ্মীকে - আবার তিনি রক্ষা করুন এই ভূমিকে , দিন তাঁর ফল , দিন তাঁর ছায়া।‘
তিনি আরও বলেন – “ পৃথিবীর দান গ্রহণ করবার সময় লোভ বেড়ে উঠল মানুষের । অরণ্যের হাত থেকে কৃষিক্ষেত্র জয় করে নিল। অবশেষে কৃষিক্ষেত্রের একাধিপত্য অরণ্যকে হটিয়ে দিতে লাগল । নানা প্রয়োজনে গাছ কেটে পৃথিবীর ছায়া বস্ত্র হরণ করে ,তাকে দিতে লাগল নগ্ন করে। তাতে তাঁর বাতাসকে করতে লাগল উত্তপ্ত , মাটির উর্বরতার ভান্ডারদিতে লাগল নিঃস্ব করে।
অরণ্যের আশ্রয় –হারা আর্যাবর্ত আজ তাই খর তাপে দুঃসহ । এই কথা মনে রেখে, কিছুদিন আগে আমরা করেছিলাম বৃক্ষরোপণ , অরণ্যচারী সন্তান কতৃক লুন্ঠিত মাতৃভান্ডার পূরণ করবার কল্যান উৎসব।
আজ সারা বিশ্বে এই কল্যান উৎসব বিশ্ববাসীকে উদ্বুদ্ধ করেছে ।
অরণ্য সম্পদ হারিয়ে , তথা ধ্বংস করে সভ্য জগতের মানুষ সচেতন হয়েও যেন কছুই করতে পারছেনা । সরকার ও সচেষ্ট অরণ্য সম্পদ রক্ষায়। নানা ভাবে অরণ্য সম্পদকে রক্ষা করার জন্য নিয়েছে নানা পদক্ষেপ। বিভিন্ন গবেষণা পত্রেও ফুটে উঠেছে অরণ্য সম্পদের কথা , তাঁর সংরক্ষণের কথা। এছাড়াও নানান সেমিনার ও আলোচনার মাধ্যমে , শিক্ষা জগতে পাঠ্য পুস্তকের মাধ্যমে , সর্বস্তরের মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। তবেও যেন কিছুই হয়েও হচ্ছেনা। বরং দিনে দিনে হারিয়ে ফেলছি আমাদের অরণ্য সম্পদকে।
বর্তমানে বিপন্ন পরিবেশকে রক্ষা করতে সমবেত স্বরে আজ বলার দিন এসেছে –
“ দাও ফিরে সে অরণ্য ,লও এ নগর
লও যত লৌহ ,লোষ্ট্র , কাষ্ঠ ও প্রস্তর ,
হে নব সভ্যতা ! হে নিষ্ঠুর সর্বগ্রাসী
দাও সেই তপোবন পূণ্যছায়া রাশি……।“
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন