রাজ্যে বাম ট্রেড ইউনিয়নের ডাকা ভারত বনধে মিশ্র প্রভাব
নিজস্ব সংবাদদাতা , কলকাতা , ২৮ মার্চঃ আজ বামপন্থী ট্রেড ইউনিয়নের ডাকা ভারত বনধ ের প্রথম দিনে রাজ্য জুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিল । রাস্তায় নেমে বনধ সফল করার জন্য বাম নেতৃত্ব কতটা সফল , সেটা নিয়ে ইতিমধ্যেই চরচা শুরু হয়েছে। সেই অর্থে রাজ্যে এখন একেবারে পিছনে থাকা রাজ্যের প্রাক্তণ শাসক দলের যে মিছিল শহরবাসী দেখল , সেটা অবশ্যই দীর্ঘদিন বাদে রাজনৈতিক ভাবে ঘুরে দাড়ানোর একটা প্রকাশ বলা যেতেই পারে। আজ শহর কলকাতায় একেবারেই প্রভাব পড়েনি। বাজার খোলা ছিল , সরকারি অফিসে হাজিরাও ছিল দেখার মত। স্কুল গুলিতেও ছাত্র-ছাত্রীরা হাজিরা ছিল আর পাঁচটা সাধারণ দিনের মতই জেলায় ট্রেন অবরোধ , রাস্তা অবরোধ ছিল । ছিল বনধ সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের খন্ড যুদ্ধ। অন্যদিকে সাধারণ মানুষের কাছে অনেকটাই বনধ এর ইস্যু গুলি নিয়ে জিজ্ঞাসা করতে , তাঁরা সর্বত ভাবে এই বনধকে মন থেকে সমর্থণের কথা জানালেও , রাস্তায় বেরিয়েছেন কর্মক্ষেত্রে যবার জন্য। কেননা অতিমারি কাটিয়ে উঠে সবে সচল হয়েছে সব কিছু। সেই সময়ে কর্মনাশা বনধের সক্রিয় সহযোগিতা অনেকেই করতে চাননি। কলকাতায় ও জেলায় রাস্তায় বেসরকারি বাসের সংখ্যা ছিল বেশ কম। ,জলপাইগুড়ি শহরের ডিবিসি রোড এলাকায় রাস্তার ওপর টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাল বনধ সমর্থকরা । দিনভর চলল পিকেটিং ও মিছিল । বামেদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার বনধের প্রথম দিনে জলপাইগুড়ির চিত্রটা ছিল এমনই ।
এদিন সকাল থেকেই রাস্তায় দেখা মেলেনি বেসরকারি মিনিবাসের । তবে কিছু সরকারি বাস ও টোটো চলাচল করেছে । জলপাইগুড়ির নেতাজীপাড়া বাসস্ট্যান্ড মোড়ে বনধ সমর্থনকারীরা সরকারি বাস আটকালেও পুলিশি নিরাপত্তায় চলে সরকারি বাস। তবে সকাল থেকে রাস্তাঘাট একরকম ফাঁকাই ছিল । খোলেনি দোকানপাট হাট-বাজার। বেলা বাড়তেই প্রতিকূল আবহাওয়াকে উপেক্ষা করেই পথে নামে বনধ সমর্থকরা । জলপাইগুড়ি শহরের বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের সামনেও বনধ সমর্থকদের অবস্থান লক্ষ্য করা যায়।তবে কোথা থেকে কোন গন্ডগোলের খবর পাওয়া যায় নি।
বনধ প্রসঙ্গে বাম শ্রমিক নেতা কৃষ্ণ সেন বলেন , মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ দু’ভাবেই বনধকে সমর্থন করছে। বেশিরভাগ মানুষই এই রাজ্যে প্রকাশ্যে বিরোধিতা করার মতো অবস্থায় নেই।
অপরদিকে বনধ সমর্থকদের অবস্থান করতে দেখা যায় জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের গেটের সামনে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন