রবিবাসরীয় বেহালার দিন প্রতিদিন বিশেষ - শিলিগুড়ির নেতাজী কেবিন

 

শিলিগুড়ির নেতাজী কেবিন , আজ নেতাজীর নামেই  বাংলার চা পিপাসু মানুষের কাছে জনপ্রিয় 



-  কুশল দাশগুপ্ত 

আজ নেতাজীর একশো পচিশতম জন্মদিন।এই দেশসেবকের জন্য সারা ভারত নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। তবে শিলিগুড়ির বিখ্যাত নেতাজী কেবীন টি হাউজের ব্যাপারটাই আলাদা।

অনেকে বলেন শিলিগুড়ির কফি হাউস। কিন্তু কফি হাউস বললেও মেলে শুধু চা। আর চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে সংস্কৃতি থেকে রাজনীতির আলোচনায় ওঠে ঝড় । নেতাজীর নামের সঙ্গে নিজেদের জড়িয়ে টোষ্ট,ওমলেট এবং চা এই দিয়েই গোটা বাংলার মন জয় করে নিয়েছে শিলিগুড়ির বিধান মার্কেটের নেতাজী কেবীন।তিল তিল করে  নেতাজী কেবীনকে বড় করেছেন মন্টু বাগচি এবং তাকে এগিয়ে নিয়ে গেলেন তার সুযোগ্য পুত্র প্রনব বাগচি।বারো মাসই ভীড় থাকে এই চায়ের দোকানে।কি শীত কি গরম সবসময় ভীড় লেগেই থাকে এই নেতাজী কেবীনএ।সারা বছর এখানে আসা মানুষকে সেবা করে দিয়ে এই কেবীনের জনপ্রিয়তাকে আরো বাড়িয়ে নিয়ে গেছেন এখানে কাজ করা শ্যামল,দীনবন্ধু এবং জীতেনরা।একেবারে সাধারন মানের চায়ের দোকান দেখলে মনে হবে,কিন্তুু চা খেলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনি কি চা খেলেন,একবার চা খেলে আপনাকে বার বার ঘুরে আসতেই হবে এই নেতাজী কেবীনেই। আসলে দার্জিলিঙয়ের চায়ের একটা মহিমা আছে স্বাদে। 

 দিনের পর দিন মানুষকে টোষ্ট ওমলেট এবং চা দিয়ে চলেছেন শ্যামল এবং দীনবন্ধুরা।প্রতিটি মানুষই নেতাজী কেবীনে আসেন চায়ের মজা নিতে।কে না আসেন নি সিনেমা আর্টিষ্ট থেকে খেলোয়াড় সবাই এখানে এসে নেতাজী কেবীনে বসে চা খেয়েছেন।

সকাল থেকে রাত পযর্ন্ত জ্বলে নেতাজী কেবীনের উনুন । মানুষ আসেন খান এবং চলে যান।শিলিগুড়িতে এখন প্রায় কুড়ি থেকে তিরিশটা চায়ের দোকান আছে এদের মধ্যে কিছু দোকান প্রচণ্ড আধুনিক।কিন্তুু এরা কেউ ধারে এবং ভারে নেতাজী কেবীনের জনপ্রিয়তাকে ছুতে পারেন নি।  সকাল থেকে রাত পযর্ন্ত কেবীনে মানুষ আসেন এবং ভীড় করে দাড়িয়ে চা খেয়ে যান।কেউ ধৈর্য হারিয়ে চলে যান না।এটাই নেতাজী কেবীনের বিশেষ দিক। অনেক চা রসিক আছেন যারা এখানে চা খাচ্ছেন প্রায় কুড়ি থেকে তিরিশ বছর ধরে। এরা কেউ নেতাজী কেবীন ছাড়া এক বিন্দু অন্য কিছু ভাবেন না। বর্তমান মালিক প্রনব বাগচি জানালেন মানুষের ভালবাসাই আমাদের কাছে সবচাইতে বড় সম্পদ আর এই সম্পদকে আরো বাড়িয়ে তোলাই আমাদের আসল লক্ষ।আমি অতিরিক্ত কিছুই চাই না শুধুমাত্র এই নেতাজী কেবীনের সন্মানকে বাড়িয়ে তুলতে চাই।কারন এই দোকানের নাম যে নেতাজী।তার সন্মান রক্ষা করাটা কম বড় ব্যাপার নয়।

মন্তব্যসমূহ