জলপাইগুড়ির জন্মদিন পালন

 কেক কেটে জলপাইগুড়ি জেলার জন্মদিন পালন 



 বিশেষ সংবাদদাতা , জলপাইগুড়ি , ১ জানুয়ারিঃ  আজ জলপাইগুড়ি জেলার জন্মদিন । ১৮৬৯ সালে জলপাইগুড়ি জেলা তৈরি হয় রংপুর জেলার একটা অংশ নিয়ে।  বোদা, পচাগড়, তেঁতুলিয়া, পাটগ্রাম ও দেবীগঞ্জকে সঙ্গী করে তৈরি হয় এই জেলা।। তিস্তার পশ্চিমপাড়ের এই পাঁচটি থানা, যা রংপুরের অন্তর্গত, তাদের পূর্বপাড়ে ১৮টি, ডুয়ার্সের ১১টি থানা নিয়ে প্রশাসনিক ভাবে জন্ম নিয়েছিল জলপাইগুড়ি জেলা। আগে যেটা ছিল ওয়েস্টার্ন ডুয়ার্স, যার সদর দফতর ছিল ময়নাগুড়ি, সেটা ছিল একটি জেলা। যা ভুটান যুদ্ধের পরে ১৮৬৫ সালে তৈরি হয়। এদিকে আলিপুরদুয়ার (ভলকা দুয়ার পরগনা), যা হেদায়েৎ আলির নামানুসারে ছিল, তা হল মহকুমা। এই নাম নিয়ে দ্বিমতও আছে। বোড়োরা দাবি করেন, প্রথম যে মেচ মুসলিম হয়েছিলেন, সেই আলি মেচের নামানুসারের নাম হয় আলিপুরদুয়ার। এই জেলা বঙ্গদেশের একমাত্র জেলা, যেখানে দু’রকম প্রশাসন প্রচলিত ছিল জেলা গঠনের পরে। তিস্তার পশ্চিমপাড় ছিল ‘রেগুলেটেড এরিয়া’। এখানে বঙ্গদেশ সরকারের আইন, রীতি, বিধির প্রচলন ছিল। এদিকে তিস্তার পূর্বপাড় ছিল ‘ননরেগুলেটেড এরিয়া’। এখানকার শাসনব্যবস্থা চলত গভর্নর জেনারেল দ্বারা। শাসনপ্রক্রিয়া চলত ডেপুটি কমিশনারের সঙ্গে আলোচনা করেই। সেই জন্য জলপাইগুড়ি জেলাশাসককে ডেপুটি কমিশনার বলা হত। ডুয়ার্সের লোকের ভোটাধিকার ছিল না।
জলপাইগুড়ির ১৫৩ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে সমাজ ও নদী বাঁচাও কমিটির পক্ষ থেকে কেককেটে উদযাপন করা হল দিনটি। এদিন জলপাইগুড়ির শহরের বাবুঘাটে ছাত্রীদের নিয়ে কেককেটে জলপাইগুড়ির প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করা হয়। ছাত্রীদেরকে কেক খাবিয়ে এবং নতুন বছরের শুভেচ্ছা বার্তা দিয়ে আজকের দিনটি পালন করেন সমাজ ও নদী বাঁচাও কমিটির সদস্যরা। প্রতিবারের মতো এবারও জলপাইগুড়ির প্রতিষ্ঠা দিবস করোনা বিধি মেনে অনাড়ম্বরে পালন করল সমাজ নদী বাঁচাও কমিটি।
তথ্য সুত্রঃ সংবাদ মাধ্যম 

মন্তব্যসমূহ