ক্যানভাস
আর্টভার্সের রংয়ের হাট ভাঙলো রবিবার
সূচনায় যে উৎসবের আবহ তৈরি হয়েছিল, বিদায়বেলাতেও তা এতটুকু ক্ষুন্ন হলো না। মনের ভেতর জমে থাকা একটুকরো বিষাদকে ডানা মেলতে দিলো না একঝাঁক তরুণ শিল্পীর বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। চরম আত্মবিশ্বাসে ভরপুর শিল্পীদের অঙ্গীকার- খুব শিগগিরই ফের দেখা হবে। রবিবার ঠিক এভাবেই শেষ হলো 'আর্টভার্স'- এর বার্ষিক চিত্র প্রদর্শনী।
ক্যানভাসে শান্তচিত্ত বুদ্ধ। আর মঙ্গলের বিকেল থেকেই 'আর্টভার্স'- এর প্রদর্শনী ঘরটাই হয়ে উঠেছিলো যেন এক 'সঙ্ঘম'। রবিবার পর্যন্ত সেই সঙ্ঘমের ঠিকানা ছিলো বিড়লা অ্যাকাডেমি অফ আর্ট অ্যান্ড কালচার। আর্টভার্স নামের এই সঙ্ঘে জমা হয়েছিলেন মোট সত্তরজন শিল্পী। তাঁদের অনেকের গায়েই এপর্যন্ত শিল্পীর কোনও তকমা ওঠেনি। তাঁরা এঁকেছেন মনের আনন্দে। কেউ পয়সা জমিয়ে রং ক্যানভাস কিনে ছবি এঁকে চলেছেন। আবার কেউ দশটা পাঁচটার অফিস সেরে আর্টভার্সের প্রদর্শনী ঘরে হাজিরা দিয়েছেন। গ্যালারির দেওয়ালে তাঁদের ছবি ঝুলছিলো। রং তুলির নেশায় বুঁদ এই শিল্পীদের কেউ নামী, কেউ অনামী, আবার কেউ স্বল্পখ্যাত। স্বশিক্ষিত প্রথাগত শিক্ষিতরা সবাই কাঁধে কাঁধ ছুঁয়ে। প্রদর্শনী সর্বাঙ্গীন করে তুলতে হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন শহরের দশজন বিশিষ্ট চিত্রকর, জানান প্রদর্শনীর আয়োজক শুভঙ্কর সিংহ। তিনতলার প্রদর্শনী কক্ষে সবমিলিয়ে দর্শকরা দেখলেন মোট একশো সত্তরটি ছবি।
'শহরের ছবি আঁকার জগতের তরুণ তুর্কিদের সঙ্গে দর্শকদের পরিচয় করিয়ে দিতেই এই আয়োজন,' বলেন শুভঙ্কর। সেই আয়োজনে শুভঙ্কর সফল। আর তাই শুধু কলকাতাই না শহরতলি থেকেও যোগ দিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন শিল্পী। এমনকি মুম্বই থেকে তিনখানা বড়ো ক্যানভাস নিয়ে হাজির হয়েছিলেন শচীন শর্মার মতো শিল্পীও। ছবি দেখিয়ে গেলেন শিলিগুড়ি মালদহের শিল্পীরাও। সত্তরজন শিল্পীকে একছাতার তলায় এনে এই মাপের এক আয়োজন করা খুব সহজসাধ্য ছিলো না। বয়সে তরুণ শিল্পী শুভঙ্কর ঠিক সেই কাজটাই করে দেখিয়েছেন। আবার সব্যসাচীর মতো একহাতে আয়োজন, আরেকহাতে ছবি এঁকে গেছেন। যার নিট ফল নাগাড়ে ছদিন ছবি দেখা, দেখানোর মহাযজ্ঞ।
গত মঙ্গলবার ( ২৩ নভেম্বর , ২০২১) তখনও প্রদর্শনী শুরু হতে কিছুসময় বাকী। তবু উত্তেজনায় টগবগ ফুটছিলেন তরুণ শিল্পীরা। দর্শকরা কার ছবি, কোন ছবির সামনে কয়েকদন্ড স্থির হয়ে দাঁড়াবেন? কে হবে সেই ভাগ্যবান চিত্রকর? সেই উত্তেজনার আগুন যেন আরও উসকে দিয়েছিলো প্রদর্শনী উদ্বোধনের মঙ্গলদীপ। গত ছদিন আমরা দেখলাম, সেই উত্তেজনার প্রশমণে ব্যস্ত থাকলেন শিল্পীরা। সরাসরি কথা হলো দর্শক শিল্পীদের। সব শিল্পী রোজ প্রদর্শনীতে হাজির থাকতে পারেননি নানা কারণে। যে যার সাধ্যমতো বিভিন্ন সময়ে এসছেন, গেছেন।
গত ২৩ নভেম্বর সূচনার মাহেন্দ্রক্ষণ থেকেই জমে গেছিলো প্রদর্শনীর আসর। রীতিমাফিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বয়ে গেছিলো এক আনন্দ লহরী। বিশেষ করে এই প্রদর্শনীতে যাঁরা জীবনে প্রথমবার কোনও প্রদর্শনী কক্ষে ছবি ঝোলানোর জায়গা পেয়েছিলেন। এরইমধ্যে বেশ চমকে দিয়েছিলেন কয়েকজন তরুণ তরুণী শিল্পী। কোনরকম রং না, শুধু সাদাকালোর ছবি ঝোলানোর বুকের পাটা দেখালেন তাঁরা। ক্যানভাসের বিষয়বস্তুতেও বৈচিত্র। বেশ ওস্তাদের ভঙ্গিতেও ভেবেছেন অনেকে। কাজও করেছেন বেশ মুনশিয়ানার সঙ্গে। তবে কিছু কাজে বাদ সেধেছে পূর্বসূরিদের প্রভাব। অনেকসময় তা প্রকট হয়ে উঠেছে। তবে মৌলিক কাজের সংখ্যাও কম ছিলো না।
সবমিলিয়ে নবীন প্রবীণ শিল্পীর একগুচ্ছ ছবি দেখার সাক্ষী থাকলো শহর কলকাতা।
ক্যানভাসে শান্তচিত্ত বুদ্ধ। আর মঙ্গলের বিকেল থেকেই 'আর্টভার্স'- এর প্রদর্শনী ঘরটাই হয়ে উঠেছিলো যেন এক 'সঙ্ঘম'। রবিবার পর্যন্ত সেই সঙ্ঘমের ঠিকানা ছিলো বিড়লা অ্যাকাডেমি অফ আর্ট অ্যান্ড কালচার। আর্টভার্স নামের এই সঙ্ঘে জমা হয়েছিলেন মোট সত্তরজন শিল্পী। তাঁদের অনেকের গায়েই এপর্যন্ত শিল্পীর কোনও তকমা ওঠেনি। তাঁরা এঁকেছেন মনের আনন্দে। কেউ পয়সা জমিয়ে রং ক্যানভাস কিনে ছবি এঁকে চলেছেন। আবার কেউ দশটা পাঁচটার অফিস সেরে আর্টভার্সের প্রদর্শনী ঘরে হাজিরা দিয়েছেন। গ্যালারির দেওয়ালে তাঁদের ছবি ঝুলছিলো। রং তুলির নেশায় বুঁদ এই শিল্পীদের কেউ নামী, কেউ অনামী, আবার কেউ স্বল্পখ্যাত। স্বশিক্ষিত প্রথাগত শিক্ষিতরা সবাই কাঁধে কাঁধ ছুঁয়ে। প্রদর্শনী সর্বাঙ্গীন করে তুলতে হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন শহরের দশজন বিশিষ্ট চিত্রকর, জানান প্রদর্শনীর আয়োজক শুভঙ্কর সিংহ। তিনতলার প্রদর্শনী কক্ষে সবমিলিয়ে দর্শকরা দেখলেন মোট একশো সত্তরটি ছবি।
'শহরের ছবি আঁকার জগতের তরুণ তুর্কিদের সঙ্গে দর্শকদের পরিচয় করিয়ে দিতেই এই আয়োজন,' বলেন শুভঙ্কর। সেই আয়োজনে শুভঙ্কর সফল। আর তাই শুধু কলকাতাই না শহরতলি থেকেও যোগ দিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন শিল্পী। এমনকি মুম্বই থেকে তিনখানা বড়ো ক্যানভাস নিয়ে হাজির হয়েছিলেন শচীন শর্মার মতো শিল্পীও। ছবি দেখিয়ে গেলেন শিলিগুড়ি মালদহের শিল্পীরাও। সত্তরজন শিল্পীকে একছাতার তলায় এনে এই মাপের এক আয়োজন করা খুব সহজসাধ্য ছিলো না। বয়সে তরুণ শিল্পী শুভঙ্কর ঠিক সেই কাজটাই করে দেখিয়েছেন। আবার সব্যসাচীর মতো একহাতে আয়োজন, আরেকহাতে ছবি এঁকে গেছেন। যার নিট ফল নাগাড়ে ছদিন ছবি দেখা, দেখানোর মহাযজ্ঞ।
গত মঙ্গলবার ( ২৩ নভেম্বর , ২০২১) তখনও প্রদর্শনী শুরু হতে কিছুসময় বাকী। তবু উত্তেজনায় টগবগ ফুটছিলেন তরুণ শিল্পীরা। দর্শকরা কার ছবি, কোন ছবির সামনে কয়েকদন্ড স্থির হয়ে দাঁড়াবেন? কে হবে সেই ভাগ্যবান চিত্রকর? সেই উত্তেজনার আগুন যেন আরও উসকে দিয়েছিলো প্রদর্শনী উদ্বোধনের মঙ্গলদীপ। গত ছদিন আমরা দেখলাম, সেই উত্তেজনার প্রশমণে ব্যস্ত থাকলেন শিল্পীরা। সরাসরি কথা হলো দর্শক শিল্পীদের। সব শিল্পী রোজ প্রদর্শনীতে হাজির থাকতে পারেননি নানা কারণে। যে যার সাধ্যমতো বিভিন্ন সময়ে এসছেন, গেছেন।
গত ২৩ নভেম্বর সূচনার মাহেন্দ্রক্ষণ থেকেই জমে গেছিলো প্রদর্শনীর আসর। রীতিমাফিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বয়ে গেছিলো এক আনন্দ লহরী। বিশেষ করে এই প্রদর্শনীতে যাঁরা জীবনে প্রথমবার কোনও প্রদর্শনী কক্ষে ছবি ঝোলানোর জায়গা পেয়েছিলেন। এরইমধ্যে বেশ চমকে দিয়েছিলেন কয়েকজন তরুণ তরুণী শিল্পী। কোনরকম রং না, শুধু সাদাকালোর ছবি ঝোলানোর বুকের পাটা দেখালেন তাঁরা। ক্যানভাসের বিষয়বস্তুতেও বৈচিত্র। বেশ ওস্তাদের ভঙ্গিতেও ভেবেছেন অনেকে। কাজও করেছেন বেশ মুনশিয়ানার সঙ্গে। তবে কিছু কাজে বাদ সেধেছে পূর্বসূরিদের প্রভাব। অনেকসময় তা প্রকট হয়ে উঠেছে। তবে মৌলিক কাজের সংখ্যাও কম ছিলো না।
সবমিলিয়ে নবীন প্রবীণ শিল্পীর একগুচ্ছ ছবি দেখার সাক্ষী থাকলো শহর কলকাতা।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন