বোতলের ভিতর শিল্পীর সৃষ্টি খ্রিসমাস ট্রী

 

২০২১ এর বড়দিনে উড়িষ্যার শিল্পীর বোতলের ভিতর খ্রিস মাস ট্রী তাক লাগালো বিশ্বকে 



সৌমাগ্নি দাস , ক্লকাতাঃ বড়দিন মানেই বাড়িতে খ্রিস্টমাস ট্রী সাজানো। তাঁর গায়ে তুলো দিয়ে বরফ , গাছের সারা অঙ্গে ঝোলানো হয় নানা উপহার ও বেল। আর বড়দিনের অঙ্গ হিসেবে এটাই আপামর বাঙ্গালীদের কাছে একটা পালনীয় রীতি হয়ে উঠেছে।    কয়েক হাজার বছর আগে উত্তর ইওরোপে প্রথম ক্রিসমাস ট্রি সাজানোর প্রথা শুরু হয়। কারণ এই গাছকে সুখ ও সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে ধরা হত। দেবদারু জাতীয় চিরসবুজ ফার গাছকে ক্রিসমাস ট্রি হিসেবে সাজানো হত। সেখানকার মানুষরা বিশ্বাস করতেন, এই গাছ অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটায়। সেই থেকেই ক্রিসমাস ট্রি বড়দিনের অপরিহার্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে। ক্রিসমাস ট্রি ছাড়া বড়দিন অসম্পূর্ণ থেকে যায়।এছাড়াও, বাস্তুমতে ক্রিসমাস ট্রি সাজানোর পেছনেও রয়েছে বহু কারণ। দেখে নিন কারণগুলি- ১) বাস্তুমতে মনে করা হয় ক্রিসমাস ট্রি অশুভ শক্তি থেকে নিজেকে ও বাড়িকে রক্ষা করে। ২) ক্রিসমাস ট্রি সাজানো হয় অনেকটা ছন্দোবদ্ধ ভাবে। ফলে মনে করা হয় এই ছন্দোবদ্ধ বস্তু বাড়িতে থাকলে জীবনও ছন্দোময় ও সুন্দর হয়ে ওঠে। ৩) সান্তা ক্লজের মূর্তি ক্রিসমাসের এক অনন্য প্রতীক। আর, এই ক্রিসমাস ট্রির গায়ে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে ছোট্ট সান্তা ক্লজের মূর্তি, যা নিষ্পাপ শিশুর প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ৪) ক্রিসমাস ট্রিতে থাকা তারা যীশুখ্রীস্টের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আমরা এটি আমাদের জীবনীশক্তি হিসেবে চিহ্নিত করে থাকি। বিশ্বাস করা হয় যে, কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও এই শক্তি সঠিক পথের সন্ধান দেয়।



এই বছর উড়িষ্যার খুরদহতে এক শিল্পীর হাতের তৈরি বতলের মধ্যেকার মিনিয়েচার ফর্মে খ্রিসমাস ট্রী ও সান্তা তাক লাগিয়ে দিয়েছে সারা বিশওকে। সংবাদ সংস্থা মারফৎ খবর অনুসারে এই মিনিয়েচার শিল্পী  এল ঈশ্বর রাওএই শিল্প কর্মটি তৈরি করেছেন। তিনা জানিয়েছেন মাত্র ৬ দিনে ৮ ইঞ্চির খ্রিসমাস ট্রী , ৭ দিনে ৭ ইঞ্চির সান্তাকে তিনি বোতলের মধ্যে তৈরি করেছেন । গাছ তৈরিতে তিনি ব্যবহার করেছেন তুলো , কাদা , কাঁচ ও কাগজ। 

মন্তব্যসমূহ