সারের কালোবাজারিতে উত্তরবঙ্গের আলুচাষিরা গভীর সংকটে , স্মারকলিপি দিল কংগ্রেস
নিজস্ব সংবাদদাতা , জলপাইগুড়ি , ১৯ ডিসেম্বরঃ উত্তরবঙ্গে সামনেই আলুর মরশুম । এই আলুর মরশুমে চাষিরা আলু চাষের সব রকম প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছেন , এই প্রস্তুতি নেওয়ার পরেও বেশিরভাগ আলু চাষী আলু চাষ করতে পারছেন না। কারণ হিসেবে তারা যে অভিযোগ গুলিকে সামনে এনেছেন সেগুলি হল , সারের কালোবাজারি , এই কারণে গরীব ও ক্ষুদ্র আলু চাষীরা অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই সব কালোবাজারিরা সারের সংকট করে চড়া দামে বাজারে বিক্রি করছে। আলুর চাষের মরশুমের শুরুতে সারের সংকট এবং সারের কালোবাজারি বন্ধ করার বিষয়ে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়ে কৃষি ভবনের দারস্থ হলেন জেলা কংগ্রেস। ন্যার্য্য মুল্যে সার ও বাজারে কালবাজারি বিক্রি রুখতে বুধবার শহরের ক্লাবরোডের কৃষি ভবনে স্বারক লিপি দিল জলপাইগুড়ি জেলা কংগ্রেস কমিটি। তাদের দাবি এই মৌসমে জেলা জুড়ে বিশাল অংকের কৃষকরা আলু চাষ করে থাকেন। তারা সারা নিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। বাজারে এক শ্রেণির অসাধু ব্যাবসায়ী কালবাজারি করে সারের দাম বেশী নিচ্ছেন। এতে সমস্যায় পড়েছেন এলাকার সাধারণ কৃষকরা। তারা তাদের প্রয়োজন মত সার পাচ্ছেন না।
এবিষয়ে জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত রায় বলেন অবিলম্বে কৃষকের স্বার্থকে সম্মান জানিয়ে বাজারে ন্যায্য মুল্যের সার সরবরাহ করতে , সদর ব্লক সহ জেলার বাজারগুলিতে সারের কালবাজারি রুখতে নজরদারি বাড়াতে হবে, দোষিদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে ।
এই বিষয়ে জেলা কংগ্রেসের সভাপতি পিনাকী সেনগুপ্ত বলেন , এই মৌসুমে জেলার সবচেয়ে বড়ো অর্থকরী ফসল হচ্ছে আলু । বাজারে সার নিয়ে কাল বাজারি করে কৃষকদের বঞ্চনা করা হচ্ছে । তারই প্রতিবাদে, আমরা কৃষি ভবনে স্বারক লিপি দিলাম। কৃষকদের ন্যায্য মূল্যে তাদের প্রয়োজনীয় সারের ব্যাবস্থা করতে হবে। এবিষয়ে ডেপুটি ডিরেক্টর অফ এগ্রিকালচার ( প্রশাসনিক) অসিম চক্রবর্তী বলেন জেলা কংগ্রেস সারের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে স্বারক লিপি দিলেন। সার নিয়ে বাজারে কালবাজারি হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন। আমরা সে বিষয়ে বাজারগুলিতে নজরদারি করব। সার নিয়ে এমনি কোন সমস্যা নেই এখন। বিষয়টি দেখছি । আমরা নিয়মিত চেকিং করছি কোথায় কোথায় সারের কালোবাজারি হচ্ছে। আমরা যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন