ভালোয় ,মন্দয় মিশিয়ে কলকাতা পুর ভোট সম্পন্ন

 উৎসবের মেজাজে কলকাতা পুর ভোট হয়েছে , বললেন  মমতা   

বিশেষ প্রতিনিধি , কলকাতা , ১৯ ডিসেম্বরঃ আজ সকাল থেকেই কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণ ছিল পুর ভোটের হাওয়ায় গরম। ঠান্ডা হিমেল হাওয়াও সেই গরমকে ঠান্ডা করতে পারেনি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বুথে বুথে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। কোথাও বোমা পড়ে , কোথাও বা বুথের এজেন্টকে বের করে দেবার অভিযোগ উঠতে থাকে। চিরাচরিত রিগিং এর অভিযোগ ও ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ ওঠে। এদিকে রাজ্যপাল থেকে মুখ্যমন্ত্রী সবাই ভোট দিলেন , নিজের নিজের বুথে । দুপুর তিনটে পর্যন্ত ভোটের হার ৪০ শতাংশ একটু পেরলে , কপালে ভাঁজ পড়ে সব পক্ষের। তবে বেলা শেষে সেই ভোটের হার ষাট শতাংশ টপকে যায়। এদিকে জ্যাকেরিয়া স্ট্রিটে একটি বুথের সামনে ভয়াবহ আগুন লাগলে , সেই বুথে ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। বোমা পড়ে খান্না স্কুলের সামনে। বেলা বাড়লে উত্তেজনা বাড়ে। এদিকে এম এল এ হস্টেলে বি জে পি বিধায়কদের তালা মেরে আটকে রাখা হয় , অন্য দিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারিকেও তাঁর সল্ট লেকের বাড়িতে কার্যত নজর বন্দি করে রখা হয়। বিধান নগরে বিজেপি রাস্তায় নামে এই ঘটনাকে কেন্দ্র  করে। পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তি হয় পুলিশের। 
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন ভোট দিয়ে বেরিয়ে এসে বলেন , ভোট হয়েছে উৎসবের মেজাজে । 
তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, অশান্তিতে তৃণমূলের নেতা কর্মীরা জড়িত, ফুটেজ থাকলে দিন, ২৪ ঘন্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে সিপিএমের কটাক্ষ , “যুবরাজ বলছেন নির্দিষ্ট ফুটেজ থাকলে তিনি ব্যবস্থা নেবেন। কাকে কে ফুটেজ দেবে? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে? ব্যবস্থা নেবে নির্বাচন কমিশন। অভিষেকও কলকাতার একজন ভোটার হিসাবে এখন কমিশনের অধীনে”।
পুলিশ সুত্রে খবর ,  দুটি বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে। সকালে ৯ টা ৪৫ মিনিট নাগাদ টাকি হাই স্কুলের সামনে বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে। সেখানে তিনজন জখম হয়েছেন। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই আমারা একজনকে গ্রেফতার করেছিল। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, "সকাল থেকে কলকাতা পৌর ভোট নিয়ে যেভাবে সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল তার প্রতিবাদের এদিন রাজ্যজুড়ে পথ অবরোধ কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। সকাল থেকেই বিজেপি এজেন্ট ও প্রার্থীদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এলাকায় এলাকায় বিজেপি কর্মীদের মারধর করা হচ্ছে সিসিটিভি ঢেকে ভোট লুট করা হচ্ছে। বিজেপির মহিলা প্রার্থীকে শ্লীলতাহানি করা হচ্ছে প্রকাশ্যে। এসবের প্রতিবাদেই এদিনের পথ অবরোধ করা হচ্ছে।" এদিকে বিজেপি , কংগ্রেস , সিপিএম প্রার্থী আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বলে জানা গেছে। 

মন্তব্যসমূহ