দ্রুত পুর নির্বাচনের দাবিতে বামেদের বিক্ষোভ

 

রাজ্যের বাকি পুরনির্বাচন অবিলম্বে করার দাবিতে আন্দোলনে বামেরা 




 কুশল দাশগুপ্ত , শিলিগুড়ি , ১৮ ডিসেম্বরঃ অবিলম্বে পুরনির্বাচনের দাবীতে ফের অবস্থান বিক্ষোভের সিদ্ধান্ত নিলো বামেরা। আগামী ৪ জানুয়ারি তারা সুভাষপল্লীতে এই বিক্ষোভ করবেন। শনিবার দলীয় কার্যালয় অনিল বিশ্বাস ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা জানালেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য অশোক ভট্টাচার্য সহ জেলা সম্পাদক সমন পাঠক। অন্যদিকে, তাদের এই সিদ্ধান্তকে তীব্র কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবিষয়ে প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য রঞ্জন সরকার বলেন, নির্বাচনে বামেদের হার নিশ্চিত। তাই এসব করে ভোট বাড়ানোর চেষ্টা করছে বামেরা।
রাজ্যে বাকী থাকা পুরনির্বাচন একসঙ্গে করার দাবী জানিয়েছিল বামেরা। কিন্তু তারপর কলকাতা পুরসভার নির্বাচন ঘোষণা হলেও, বাকী জায়গায় নির্বাচন ঘোষণা করেনি রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আর তারপর থেকেই শিলিগুড়িতে পুরনিগমের বিরুদ্ধে একের পর এক আন্দোলন করে চলেছে বামেরা। সম্প্রতি নির্বাচনের দাবীতে পুরনিগমের গেটের সামনে বসে বিক্ষোভ দেখান প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য বাম কর্মীরা। এদিনও সাংবাদিক সম্মেলন করে তারা একই দাবী করেন। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য অশোক ভট্টাচার্য বলেন, দ্রুত পুরনির্বাচন করতে হবে। সংবিধান না মেনে একটি
নিয়ম চলুক বলে দাবী তাদের।এদিন পুরনিগমের গেটের সামনে বসে বিক্ষোভ দেখান প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য বাম কর্মীরা। এদিনও সাংবাদিক সম্মেলন করে তারা একই দাবী করেন। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য অশোক ভট্টাচার্য বলেন, দ্রুত পুরনির্বাচন করতে হবে। সংবিধান না মেনে একটি প্রশাসক বোর্ড তৈরী করা হয়েছে,  যা পুরোটাই অগণতান্ত্রিক ও অনৈতিক। তৃণমূল পুরনিগমে বসে যে কোটি কোটি টাকার প্রকল্পের কথা বলছেন তা কোনওটাই ঠিক নয় বলে দাবী করেছেন অশোক ভট্টাচার্য। এর বিরুদ্ধে তারা আন্দোলন শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এই আন্দোলন চলতে থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
এই ইস্যুতে আগামী ৪ জানুয়ারি বামেরা সারা দিনরাত অবস্থান বিক্ষোভ করবেন বলে জানিয়েছেন প্রাক্তন রাজ্য সভার সাংসদ সমন পাঠক। প্রয়োজনে আগামীতে ৪৮ ঘন্টার জন্য বিক্ষোভ আন্দোলন করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে বামেদের পক্ষ থেকে। 
অন্যদিকে, বামেদের এই আন্দোলনকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি শিলিগুড়ি পুরনিগমের প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য রঞ্জন সরকার। তিনি বলেন, “বামেদের সময় আন্দোলন করতে দেওয়া হতোনা। আমরা তো আন্দোলন করতে দিচ্ছি। আমাদের রাজ্যে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই সব হয়।
ওরা এখন নিজেদের ভোট ফেরানোর জন্য এসব করছে। যদিও তাতে কোনও লাভ হবেনা। কারণ এবছর শিলিগুড়ি পুরনিগম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দিতে প্রস্তুত শিলিগুড়ির জনতা।

মন্তব্যসমূহ