উত্তরবঙ্গের চা বাগানে চা শ্রমিকদের ন্যনতম মজুরির দাবিতে অবস্থান

 ন্যুনতম মজুরির দাবিতে চা শ্রমিকদের অবস্থান উত্তরবঙ্গে 



নিজস্ব সংবাদদাতা , দার্জিলিং , ২৪ নভেম্বরঃ ২০২২ সালের ১ লা জানুয়ারী থেকে চা শিল্পে নূন্যতম মজুরী চালুর দাবিতে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন চা বাগানের গেটে মঙ্গলবার ও বুধবার দু’দিনব্যাপী বিক্ষোভে সামিল হল চা শ্রমিকরা । সঙ্গে যুক্ত হয়েছে চা শ্রমিকদের জমির পাট্টার দাবি । চা শ্রমিকদের বিভিন্ন ইউনিয়নের যুক্ত মঞ্চ জয়েন্ট ফোরাম মঙ্গল ও বুধবার এই বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে । দীর্ঘদিন যাবৎ চা শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরীর ফয়শলা হয়নি । এবার আর ধৈর্য ধরতে রাজি নয় শ্রমিকরা । দীর্ঘদিন লড়াইয়ের পরও এই মূহুর্তে চা শ্রমিকরা বড় বাগানের ক্ষেত্রে মাত্র ২০২ টাকা মজুরী পাচ্ছেন । ছোট বাগানের ক্ষেত্রে মজুরী আরও কম ।

চা শ্রমিকদের লাগাতার আন্দোলনের ফলে ২০১৫ সালে নূন্যতম মজুরী নির্ধারনের জন্য কমিটি গঠন করতে বাধ্য হয় রাজ্য সরকার । এ বছরই তৈরী হয় শ্রমিক , মালিক ও সরকারী প্রতিনিধিদের নিয়ে গড়া ৬ সদস্যের কমিটি । কমিটিতে সব আলোচনা হয়ে গেলেও এখন নূন্যতম মজুরী চালু করা নিয়ে নতুন করে গড়িমশি শুরু করেছে মালিক পক্ষ। অথচ ১ লা জানুয়ারী থেকে চা শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরী চালু হবে বলে ঘোষনা করে দিয়েছে রাজ্য সরকার । ফলে জটিলতা তৈরী হয়েছে। 

এদিকে চা শ্রমিকরাও বড় আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন । তারই অঙ্গ হিসাবে মঙ্গল ও বুধবার বিক্ষোভের ডাক দেয় জয়েন্ট ফোরাম ।

জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের জয়পুর , ভান্ডিগুড়ি , যাদবপুর চা বাগানের ফ্যাক্টরী গেটে মঙ্গলবার বিক্ষোভ দেখান শ্রমিকরা । বিক্ষোভ শেষে শ্রমিকদের প্রতিনিধি দল ম্যানেজারের হাতে তুলে দেন দাবিপত্র । নেতৃত্ব দেন চা শ্রমিক নেতা অমল নায়েক , জগদীশ মাহাতো , অবিনাশ বাখলা , আনন্দ দাস , ঝন্টু ওরাওঁ , যোগেশ রায় ,পরিমল লোহার, বিপুল ওরাওঁ প্রমুখ । এরই পাশাপাশি বুধবার বিক্ষোভ সমাবেশ সংঘটিত হল জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের ডেঙ্গুয়াঝার করলাভ্যালী, সরস্বতীপুর, শিকারপুর সহ অন্যান্য চা বাগানে।

মন্তব্যসমূহ