স্ত্রীকে ফিরে পেতে শ্বশুর বাড়ির সামনে ধর্না স্বামীর , স্ত্রী ফিরে যেতে নারাজ
বিশেষ সংবাদদাতা , জলপাইগুড়ি , ২৪ নভেম্বরঃ স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে শ্বশুরবাড়ির সংসার ফেলে বাপেরবাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন এক গৃহবধূ। এবার সেই গৃহবধূকে ফিরে পেতেই শ্বশুরবাড়ির সামনে ধর্নায় বসল স্বামী। এমনই ঘটনা ঘটেছে জলপাইগুড়ি জেলার মাল ব্লকের কাঠামবাড়ি এলাকায়। স্বামী চাইছেন তার স্ত্রী ও সন্তানকে নিজের বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে। যদিও স্বামীর সাথে নতুন করে ঘর সংসার করতে নারাজ গৃহবধূ। স্ত্রী সন্তানকে ফিরে না পেলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন নাছোরবান্দা স্বামী।
গত ৩ বছর আগে গজলডোবা এলাকার হরিদাস মন্ডলের সাথে বিয়ে হয় কাঠামবাড়ি এলাকার বাসিন্দা রঞ্জিত মন্ডলের মেয়ে শংকরী মন্ডলের। তাদের বর্তমানে দেড় বছরের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই শংকরীর ওপর নির্যাতন চালাত স্বামী হরিদাস বলে অভিযোগ। স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বছর খানেক আগে নিজের কন্যা সন্তানকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতে আশ্রয় নেয় নির্যাতিতা এই গৃহবধূ। ছয়মাস আগে গৃহবধূ মাল থানায় বধূনির্যাতনের মামলাও করে।
এদিকে বুধবার সকালে আচমকাই নিজের স্ত্রী সন্তানকে ফিরে পেতে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধর্ণায় বসে হরিদাস মন্ডল। স্ত্রী ও সন্তানের ছবি নিয়ে ধর্ণা চলাকালীন ঘটনাস্থলে আসে ক্রান্তি ফাঁড়ির পুলিশ, স্থানীয় প্রধান অনুকুল বিশ্বাস ও পঞ্চায়েত সদস্য আপ্তাবুল আলম। তারা এসে হরিদাসকে বুঝিয়ে ধর্ণা থেকে উঠিয়ে দেয়। এই বিষয়ে হরিদাস মন্ডল বলেন, বহুদিন থেকে আমার বউ আমার সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে এসেছে । এমতবস্থায় তিনি চান সন্তানসহ নিজের বউকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে। কিন্তু শ্বশুরবাড়ি থেকে আমার বউকে আমার হাতে তুলে দিতে নারাজ। তাই আমি শ্বশুর বাড়ির সামনে ধরনায় বসি। যদি আমার বউকে ফিরিয়ে না দেয় তাহলে আমি আত্মহত্যার পথ বেছে নেবো।
অন্যদিকে শংকরী মন্ডলের, অভিযোগ স্বামীর অত্যাচারে আমি চলে এসেছি বাপের বাড়িতে। আমি কোনভাবেই ওর সঙ্গে আর সংসার করতে চাই না। এবং আমি আমার স্বামীর কাছে ফিরে যাব না।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন