শুরু হল ফ্রিউইংসের চিত্র প্রদর্শনী

চিত্র প্রদর্শনী 

 ফ্রিউইংসের উড়ান




বিশেষ সংবাদদাতা , কলকাতা, অক্টোবর ৩১: ডানা মেললো 'ফ্রিউইংস'।  আর তার ডানায় ভর করে উড়ান দিলো আপাতত কুড়িজন শিল্পী। রবিবার দুপুর থেকে মহামায়াতলায় শুরু হলো চিত্রীদের রংবাজি। 

শিল্পীদের জাতবিচার হয় না। হয় না লিঙ্গ বা বয়সের বিচারও। বড় ছোট, প্রতিষ্ঠিত অপ্রতিষ্ঠিত, কোনটাই না। তাদের পরিচয় ধরা থাকে ক্যানভাসে। রংরেখার মধ্যে দিয়েই শিল্পীদের প্রকট হয়ে ওঠা। আর সেই ধারার মধ্যেই শাশ্বত হয়ে ওঠে একটি বাণী- মিলে সুর মেরা তুমহারা। তো সুর বনে হমারা। এখানে রংরেখাই সুর।

সুদীপ্ত অধিকারীর সৃষ্টি   

ছবির প্রদর্শনী কক্ষ আক্ষরীক অর্থে সাজানো গোছানো। চাপা আলোর স্নিগ্ধতা। অলিখিত শর্তমাফিক জ্বলে উঠলো মঙ্গলদীপ। সেখানেও কোনও বিশেষ অতিথির বালাই ছিলো না। শিল্পী এমনকি ছবিরসিকরাও প্রদীপের সলতেয় আগুন ছোঁয়ালেন। গোটা কক্ষ তখন এক শিল্পী শিল্পপ্রেমিকদের মিলনমেলা।

'সবাই আসুক,' বললেন সুদীপ্ত অধিকারী। সদিচ্ছা থাকলে প্রদর্শনীর গোটা আয়োজনটাই যে নিজের একা হাতে করে ফেলা যায়, তা দেখিয়ে দিলো সুদীপ্ত। একহাতে ছবি এঁকেছেন, অন্যহাতে প্রদর্শনীর আয়োজন করেছেন। কিন্তু মহামায়াতলায় কেন?

শুভঙ্কর সিংহ  এর সৃষ্টি  

- 'শুধু অ্যাকাডেমি আর হাতেগোনা কিছু গ্যালারিতেই ছবি বাঁধা পড়বে কেন? কেনই বা ছবি দেখতে হলে গড়িয়া, সোনারপুর, নরেন্দ্রপুর থেকে ছুটতে হবে শহরের আর এক প্রান্তে?' প্রশ্ন সুদীপ্তর। আর সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়েই গড়িয়ার মহামায়াতলায় এই আয়োজন। সবমিলিয়ে _ ছবির সমাহার। 

অতীন বসাকের সৃষ্টি  

ধরাবাঁধা কোনও 'সাবজেক্ট' না। যেমন খুশি তেমন ছবি। নানা আঙ্গিকের একগুচ্ছ কাজ। বিভিন্ন মাধ্যমে আঁকা। সাইজেরও কোনও ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। সবমিলিয়ে শুদ্ধ আবেগের এক ছবিমেলা। আর পাঁচটা মেলার মতো এই মেলারও কোনও ছক নেই। আছে শুধুই আনন্দ। আর সেই আনন্দযজ্ঞের শরিক হতে বাঘাযতিন রামগড় থেকে ছুটে এসছেন ইন্দ্রানী ঘোষ। আলিপুর থেকে শুভঙ্কর সিংহ। গড়িয়া স্টেশন রোডের প্রতীক মল্লিক। অনেকটা দূর বিরাটি থেকে ছবি নিয়ে এসে হাজির হয়েছিলেন রিমঝিম সিনহা দাসগুপ্ত, আবীরা ব্যানার্জি, আরও অনেকে।
প্রদর্শনী চলবে আগামী রবিবার পর্যন্ত।

মন্তব্যসমূহ