জলপাইগুড়ির অসুর সম্প্রদায়ের মানুষজন আজ আর দুর্গাপুজোয় মুখ লুকোন না

 একসময়ে  দুর্গাপুজোতে মুখ লুকোতে ঘরের চারপাশ কালো কাপড়ে ঢেকে রাখতেন জলপাইগুড়ির অসুর সম্প্রদায়ের মানুষজন 



সজল দাশগুপ্ত , জলপাইগুড়ি , ১০ অক্টবরঃ  দুর্গাপূজার সময় আর তারা নিজেদেরকে অশৌচ মনে করেন না। মণ্ডপে গিয়ে অঞ্জলি দেওয়া থেকে আরম্ভ করে দূর্গা উৎসব এর যাবতীয় আনন্দ উপভোগ করেন তারা। এক সময় দুর্গাপুজো আনন্দ থেকে নিজেদের বঞ্চিত করে রাখতেন অসুর সম্প্রদায়ের মানুষ রা। কারণ তারা নিজেদেরকে মহিষাসুরের বংশধর হিসেবে মানেন।

তবে যুগ পাল্টেছে সময় পাল্টেছে অসুর সম্প্রদায় বর্তমান প্রজন্ম আর নিজেদেরকে দুর্গ উৎসবের আনন্দ থেকে বঞ্চিত করতে রাজি নয়। একসময় এমন ছিল দুর্গাপুজোর দিনগুলি তারা শোক দিবস হিসেবে পালন করতেন। ঘরের চারপাশে কালো কাপড় লাগিয়ে রাখতেন। কারণ তারা বিশ্বাস করতেন মহিষাসুরের বংশধর তারা । মা দুর্গা মহিষাসুরকে নিধন করেছেন সেই কারণে মা দুর্গার মুখ আর তারা দেখতেন না। বরাবরই অসুরকে পূজা করে এসেছে এই অসুর সম্প্রদায়ের মানুষেরা।

এই অসুর সম্প্রদায়ের মানুষের বাস উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার অন্তর্গত নাগরাকাটা , আলিপুরদুয়ার জেলার কিছু অংশে, এছাড়া শিলিগুড়ি সংলগ্ন নকশালবাড়ি চা বাগান এলাকায়। এরা হিন্দি ও বাংলা এই দুটো ভাষা  বলতে পারেন না বুঝতে পারেন না, এরা নিজস্ব সম্প্রদায়িক ভাষায় কথা বলেন ।

মন্তব্যসমূহ