রাজ্যে ভারত বনধে সব কিছু স্বাভাবিক

 

রাজ্যে সংযুক্ত মোর্চার ডাকা ভারত বনধে সাড়া মিলল না 



বিশেষ প্রতিনিধি , কলকাতা ,  শিলিগুড়ি , কোচবিহার , জলপাইগুড়ি , ২৭ সেপ্টেম্বরঃ আজ রাজ্যে কিষান মোর্চার ডাকা ভারত বনধের সমর্থনে সংযুক্ত মোর্চার ডাকা বনধের কল প্রভাব শহর কলকাতায় পড়ল না। আগেই রাজ্য সরকার এই বনধ সমর্থন করবে না বলে জানিয়েছিল। ফলে স্বাভাবিক ছিল বাজার , অফিস ,খোলা ছিল দোকান । গাড়ি ও রেল চলাচল ছিল স্বাভাবিক। শহরের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ মিছিল বেরিয়ে ছিল কেন্দ্রের জন বিরোধী কৃষি বিলের বিরুদ্ধে। তবে শহরের জনসাধারণের মধ্যে থেকে এই বনধের খুব একটা সমর্থন দেখা যায়নি। 

 কিষাণ মোর্চার ডাকা ভারত বনধের সেরকম কোন প্রভাব দেখা গেল না শহর শিলিগুড়িতে। দিনের প্রথমার্ধে দোকানপাট কিছুটা বন্ধ থাকলেও, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খুলতে শুরু করে বাজারহাট, অফিস কাছারি। রাস্তায় তুলনামূলকভাবে বেসরকারি বাস কম থাকলেও, রাস্তায় নেমেছে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন নিগমের সমস্ত বাস। পাশাপাশি সমস্ত রুটে বেসরকারি ছোট গাড়ি চলাচল করতে দেখা গিয়েছে। 

অন্যদিকে, বনধ-এর সমর্থনে এদিন পথে নামে এসইউসিআই, অল ইন্ডিয়া কিষাণ মজদুর সংগঠন, সিপিআইএমএল সহ অন্যান্য বাম শরিকগুলি। এই মিছিল শহরের বিভিন্ন রাজপথ পরিক্রমা করে। তবে করোনার বিধিনিষেধের পর পূজার একদম আগ মূহুর্তে বনধকে সেরকম সমর্থন জানায়নি শহরবাসী। রাজ্যের শাসকদল বিজেপি সরকারের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন জানালেও, বনধ-কে সমর্থন জানায়নি।

 সিপিআইএমএলের দার্জিলিং জেলা সম্পাদক অভিজিৎ মজুমদার বলেন, " কটা দোকান খুলল বা কটা গাড়ি রাস্তায় নামলো তার সঙ্গে বনধের গুরুত্ব তুলনা করা ঠিক হবে না। মানুষ কেন্দ্রের কালা কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে।"

কৃষি বিলের বিরোধিতা সহ বেশকিছু দাবীতে সংযুক্ত মোর্চার ডাকা ভারত বনধ মিশ্র প্রভাব  কোচবিহারে। বনধকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায় নি। পুলিশি  নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার সরকারি বাস রাস্তায় নামলেও, চালকরা জীবনের ঝুঁকি কমাতে মাথায় হেলমেট পরে গাড়ি চালাচ্ছেন। দেখা মেলেনি বেসরকারি বাসের। রাস্তায় বেসরকারি বাস না থাকার ফলে সাধারণ মানুষের কিছুটা হলেও সমস্যা হচ্ছে । বনধ সমর্থকদের শান্তি পূর্ণ মিছিল কোচবিহারের বিভিন্ন রাস্তা পরিক্রমা করে। তবে, স্বাভাবিক দিনগুলিতে কোচবিহার জেলায় সকাল দশটার আগে বাজার হাট খোলে না। ফলে সকাল থেকে দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বনধের ছবিটা কতটা পরিবর্তন হয় 

সকালের দিকে এই ভারত বনধের কিছুটা হলেও প্রভাব পড়েছে জলপাইগুড়ি শহরে। জলপাইগুড়ি শহরের নেতাজিপাড়া বাসস্ট্যান্ডে বাস আটকে দিল বনধ সমর্থনকারীরা। সকাল থেকে চলছে ট্রেন। জলপাইগুড়ি জাতীয় সড়কে রাস্তায় নেমেছে যানবাহন। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি পুলিশ বাহিনী এসে বনধ সমর্থনকারীদের হটিয়ে বাস চলাচল স্বাভাবিক করে।

মন্তব্যসমূহ