দুর্গাপুজো কি কড়া শাসনে বাঁধা পড়বে , নাকি বাঁধন ছাড়া হবে , আজ সবাই তাকিয়ে আদালতের দিকে ?
কুশল দাশ গুপ্ত , কলকাতা , ৩০ সেপ্টেম্বরঃ সামনেই উৎসবের মরসুম। আর তাতে ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে করোনার গ্রাফ। এমন পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত ভিড় নিয়ে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে সতর্ক করল কেন্দ্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সংক্রমণ বাড়লে কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা বাড়ানোর পরামর্শ দিল স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
এদিকে, গতবারের মতো এবারও কি দর্শকহীন হবে দুর্গাপুজো ? তা নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে দায়ের হয়েছে মামলা। মঙ্গলবার শুনানির কথা ছিল। এই আবেদনের জবাব দিতে সময় চেয়ে নিয়েছে রাজ্য। আজা এই মামলার পরবর্তী শুনানি।সোমবারই রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিবদের চিঠি দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা। চিঠিতে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। চিঠিতে লেখা হয়েছে, করোনা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেছে। কিন্তু সামনেই উৎসবের মরসুম। পুজো, মেলা-সহ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে জমায়েত হলে ফের বাড়তে পারে সংক্রমণ। তাই স্থানীয় প্রশাসনকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।টিকাকরণের গতি বাড়ানোর কথাও বলা হয়েছে।
প্রয়োজনে করোনা পরিস্থিতিতে লাগাম পরাতে কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা বাড়ানোর পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। গত বার দুর্গাপুজোয় একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল হাই কোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, বড় পুজোগুলিতে অর্থাৎ যাদের মন্ডপ ৩০০ স্কোয়ার মিটারের অধিক জায়গা জুড়ে তৈরি সেখানে একসঙ্গে ৪৫ সদস্য প্রবেশ করতে পারবেন। তারা সর্বোচ্চ ৬০ জনের তালিকা প্রস্তুত করতে পারবেন। বিভিন্ন দিন প্রবেশের জন্য তালিকা বদলানো যাবে। প্রতিদিন প্রবেশের যে তালিকা তৈরি হবে, সকাল আটটার মধ্যে তা মণ্ডপে টাঙিয়ে দিতে হবে
ছোট পুজোগুলির ক্ষেত্রে ২০ জনের তালিকা তৈরি করা যাবে। মণ্ডপে একসঙ্গে ১৫ জন প্রবেশ করতে পারবেন। এছাড়াও উপযুক্ত করোনা বিধি মেনে ঢাকিরা নো এন্ট্রি জোনে থাকতে পারবেন বলেও জানিয়েছিল হাইকোর্ট। এবারও এইসব বিধি-নিষেধ বলবৎ থাকবে কিনা, এখন সে দিকেই নজর পুজোর উদ্যোক্তা থেকে সাধারণ মানুষের।
ইতিমধ্যেই কলকাতা সহ সারা রাজ্যের বড় পুজো মন্ডপগুলির কাজ প্রায় সম্পুর্ণ। কিছু কিছু মন্ডপে প্রতিমাও এসে গেছে । পুজোর বাকি আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি দিন। আপামর বাঙ্গালীও দিন গুনতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে করোনা নিম্নমুখী হলেও ততটা আশাব্যাঞ্জক হয়নি এখনও। তৃতীয় ঢেউ নিয়ে চিন্তিত চিকিৎসক থেকে সবাই। তাই এই উৎসব কতটা আনন্দের , আর কতটা নিরানন্দের , সেটাও চিন্তার মধ্যে রেখেছে সবাইকে।
আজ , ৩০ সেপ্টেম্বর এই মামলার শুনানি। দেখা যাক কি নির্দেশ দেয় মাননীয় আদালত ?
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন