জিরো রূপী নোট

 

প্রতিবাদের হাতিয়ার  জিরো রূপী নোট 



বিশেষ প্রতিনিধি , কলকাতা , ২০ সেপ্টেম্বরঃ ভারতের অর্থনীতিতে টাকা একটি গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা নিয়ে আসছে। এটি মুলতঃ বিনিময়ের নিরপেক্ষ মাধ্যম হিসেবেই সর্বজন স্বীকৃত। এই নোটের দায় ভার নেয় দেশের সরকার । সরকারের তরফে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় বিনিময় মূল্য চুকিয়ে দেবার। কিন্তু শুনলে অবাক হবেন। আমাদের দেশে ২০০৭ সাল থেকে অন্য একটি নোট চালু আছে। সেটি হচ্ছে জিরো রূপী নোট । 

এই জিরো রূপী নোটটি দেখতে একেবারে আমাদের প্রচলিত টাকার মতই। কোথায় ব্যবহার করা হয় এই নোট ? আপনারা বলতেই পারেন বাজারে কেন , কোথাও চলবে না এই নোট ? তবে কোথায় ব্যবহার হবে এই নোট ? 

হবে একটি বিশেষ জায়গায় , বিশেষ কারণে , আর বিশেষ জনের ক্ষেত্রে । ভারতে এই নোত চালু করেছে পঞ্চম পিলার নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। মুলতঃ সরকারি ক্ষেত্রে ঘুষ নামক দুর্নীতি বন্ধ করার জন্য এটি ব্যবহার করা হচ্ছে । যখন কোন সরকারি অফিসার ঘুষ চাইবেন , তখন তাঁকে দেওয়া হবে এই জিরো নোট। এটা দিয়ে তাঁকে বিব্রত করা যেমন উদ্দেশ্য , তেমনি উদ্দেশ্য আমাদের দেশের সচেতন নাগরিকদের কাছে সরকারি অফিসারদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো। 

এই বিষয়টি মাথায়  আসে ডঃ; মোহন বগত নামে এক পদার্থ বিদ্যার অধ্যাপকের মাথায়।  ভারতে ২০০৭ সালে ফিফথ পিলার নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এটির প্রচলন করে। প্রায় এক মিলিয়ন এই জিরো রূপী নোট  ছাপা হয় , আর তা বিলিয়ে দেওয়া হয় ভারতের নাগরিকদের মধ্যে। এগুলি তারপর থেকেই সরকারি কর্মীদের ঘুষ চাওয়ার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদের হাতিয়ার হয়ে ওঠে । মনে রাখবেন এটি প্রচলিত কোন টাকা নয় কিন্তু ।  

  

মন্তব্যসমূহ