বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তাপ বাড়ছে ভবানী পুর সমেত সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গীপুরে

 

ভবানীপুরে নরমে-গরমে নির্বাচনী উত্তাপ , বুথ দখল,ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ বিজেপি'র , অস্বীকার তৃণমুলের 



বিশেষ প্রতিনিধি , কলকাতা , ৩০ সেপ্টেম্বরঃ আজ পশ্চিমবঙ্গের তিনটি বিধান সভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন । সামশের গঞ্জ , জঙ্গিপুর ও কলকাতার ভবানীপুর । এই তিন কেন্দ্রেই সকাল থেকেই শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ। কলকাতা ছড়া বাকি দুটি কেন্দ্রে প্রথম দুই ঘন্টায় ভোট ভালো পড়েছে বলে সুত্রের খবর। কলকাতার ভবানীপুরের প্রথম দু ঘন্টায় ভোটের হার যেখানে ৮ শতাংশের কম , সেখানে বাকি দুটি কেন্দ্রে হার ১৭ শতাংশের আশে পাশে। 

কলকাতায় বিজেপি অভিযোগ তুলেছে বুথ জ্যাম , ছাপ্পা ভোট , এজেন্টকে বুথ থেকে তাড়িয়ে দেবার । অন্য দিকে রাজ্যের শাসক দল এই অভিযোগকে অস্বীকার করে বলছে , হারের আগেই তারা গান গাইতে শুরু করেছে। মদন মিত্র বা ফিরহাদ হাকিমরা জানিয়েছেন , যা ভোট পড়ছে , তার ৯০ শতাংশ পাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও শাসক দলের একটি সুত্র বলছে , ভোটের হার যেহেতু কম , তাই চিন্তার ভাঁজ এই ভবানীপুর কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত শাসক দলের বিভিন্ন নেতাদের। প্রসংতঃ এই ভবানীপুর কেন্দ্রে এমনিতেই ভোট কম পড়ে। তার ওপর বেশ কয়েকটি উপনির্বাচনে দেখা গেছে এই ভোটের হার কম পড়ে। এই আসনটি আগে তৃণমূল কংগ্রেসের শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় চট্টোপাধ্যায় জিতেছিলেন ২৮ হাজারের কিছু বেশি ভোটে। তিনি পদত্যাগ করলে , শাসক দলের সেফ সিট বলে পরিচিত এই কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কেন্দ্রের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড নিয়ে চিন্তায় রয়েছে রাজ্যের শাসক শিবির। বিশেষ করে দুটি ওয়ার্ডে গত বিধানসভা নির্বাচনে পিছিয়ে থাকতে হয়েছে। এমনকি গত লোকসভা নির্বাচনেও পাঁচটিতে বেশ খারাপ ফল করেছিল শাসক দল। 



ভবানীপুর কেন্দ্রটিকে মিনি ভারত বলা হয় । নানা ভাষাভাষী মানুষের বসবাস এখানে। বিশেষ করে অবাঙ্গালী ভোটারদের। এই কেন্দ্রে তারাই ডিসাইডিং ফ্যাক্টোর। বিজেপি'র দাবি , যদি ফ্রেশ ইলেকসন হয় , তাহলে রাজ্যের শাসক দলের কাছে ফলাফল খুব একটা সুখকর হবে না। অন্য দিকে শাসক দলের কাছে ন্যুনতম ৫১ হাজার মার্জিন হবে জিতের ক্ষেত্রে এমনটাই বলছে রাজনৈতিক মহল।  

মন্তব্যসমূহ