কর্ণ রাজার দিঘীতে বড়শিতে বিঁধল ৩০ কেজি ওজনের রুই
নিজস্ব সংবাদদাতা , উত্তর দিনাজপুর, ২২ আগস্টঃ ভোজন রসিক বাঙালীর পাতে এক টুকরো মাছ থাকলে আর কোন কথাই নেই। আর সেই মাছ যদি নিজের হাতে কেউ পুকুর থেকে ধরে নিয়ে আসে তাহলে তো সোনায় সোহাগা। সেই আনন্দ আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। বাঙালীকে আনন্দ দিতে, বহু বছর ধরে উত্তর দিনাজপুরের কর্ণজোড়ায়, কর্ণ রাজার দিঘীতে আয়োজিত হয়ে আসছে মাছ ধরার প্রতিযোগিতা। অলিম্পিকের উন্মাদনার থেকে কোন অংশে কম নয়, কর্ণ রাজার দিঘীতে মাছ ধরতে আসা মৎস্য শিকারীদের উন্নাদনা। মৎস্য শিকারীদের সেই উন্মাদনাকে পুরষ্কৃতও করেন দিঘী কর্তৃপক্ষ। এক মাস ধরে চলা এই প্রতিযোগিতায় সব থেকে বেশী ওজনের মাছ যিনি শিকার করতে পারবেন তাঁকে পুরষ্কৃত এবং সম্মানিত করেন দিঘী কর্তৃপক্ষ। আর ১৬ ই আগস্ট থেকে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় বরশিতে ৩০ কেজি ওজনের রুই ধরে তাক লাগিয়ে দিলেন মালদা থেকে আসা দুই মৎস্য শিকারী।
১৬ আগস্ট থেকে উত্তর দিনাজপুর জেলার করণদিঘির কর্ণ রাজার দিঘিতে শুরু হয়েছে একমাস ব্যাপী মাছ ধরা প্রতিযোগিতা। টিকিট করে সেই মাছ ধরতে বহু মানুষ দূরদূরান্ত থেকে আসছেন মানুষ। মাছ ধরার গ্রামীণ অলিম্পিক বললেও হয়তো খুব একটা ভুল হবে না এই প্রতিযোগিতাকে। কিন্তু, করোনার কারণে বহু বছর ধরে চলে আসা এই মাছ ধরার প্রতিযোগিতা গতবছর বন্ধ ছিল। এবার করোনার বিধি-নিষেধ কিছুটা শিথিল হওয়ায়, আবারো মাছ ধরতে আসা উৎসুক মানুষের ভীড় উপচে পড়েছে কর্ণ রাজার দিঘীতে। সাবেকি প্রথা মেনে বহু বছর ধরে এই দিঘিতে ১৫ ই আগস্ট এর দিন থেকে একমাস ব্যাপী চলে মাছ ধরা প্রতিযোগিতা। এই দিঘীতে বিভিন্ন ধরনের মাছ রয়েছে বিভিন্ন ওজনের। যে ব্যক্তি সবচেয়ে বড় মাছ ধরতে পারবে তাকে পুরষ্কৃত করবে কর্ণ রাজার দিঘী কর্তৃপক্ষ। এবারও কয়েকদিন অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে মাছ ধরার এই প্রতিযোগিতার। এবছরই ১৬ কেজি ওজনের কাতল মাছ বরশীতে উঠেছে এক মৎস্য শিকারীর। কিন্তু এবার সব রেকর্ড ব্রেক। মালদা থেকে মৎস্য শিকার করতে আসা দুই মৎস্য শিকারীর বরশীতে উঠে এল ৩০ কেজি ওজনের একটি রুই মাছ। আর এই মাছ দেখতে প্রচুর মানুষ ভিড় জমালেন কর্ণ রাজার দীঘিতে। ৩০ কেজি ওজনের রুই মাছকে বরশীতে জব্দ করে, যার পর নাই খুশী মালদা থেকে আসা মহম্মদ মণির এবং আসলাম। মাছ ধরার নেশায় দুই ভাই মিলে প্রতি বছরই কর্ণ রাজার দিঘীতে মাছ ধরতে আসেন। তবে, এত বড় মাছ এই প্রথম তাঁদের বরশীতে উঠেছে। এখনও পর্যন্ত এই প্রতিযোগিতায় তাঁরাই প্রথম। কিন্তু, তাতেও আশ্বস্ত নন দুই ভাই। কারণ, জলের এই প্রতিযোগিতায় কখন কি হয় তা বলা মুস্কিল। কখন কার বরশীতে কত বড় মাছ ধরা পড়ে তা কেউ বলতে পারেন না। আর তাই, তাঁরাই যে শেষ পর্যন্ত প্রতিযোগিতায় প্রথম থাকবেন তা হলফ করে বলতে পারছেন না মণির এবং আসলাম। কিন্তু তাতেও বিন্দুমাত্র বিচলিত নন তাঁরা। এখন বিশালাকার এই মাছ ধরার আনন্দেই বুঁদ হয়ে থাকতে চান মালদা থেকে আসা এই দুই মৎস্যশিকারী।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন