১১ দফা দাবিতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে সামিল উত্তরবঙ্গের মৃৎশিল্পীরা
সজল দাশগুপ্ত , জলপাইগুড়ি , ১০ অগাস্টঃ মৃৎ শিল্পীদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে উত্তরবঙ্গের মৃৎশিল্পীরা একত্রিত হলেন জলপাইগুড়িতে । মৃৎশিল্পী ও কুম্ভকার দের জন্য সরকারি সাহায্য ও প্যাকেজ ঘোষণা করা, প্রত্যেক মৃৎশিল্পী ওবিসি সার্টিফিকেট প্রদান, ডি আই সির মাধ্যমে শিল্পী ক্রেডিট কার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণসহ ১১দফা দাবি নিয়ে জলপাইগুড়ি বন্ধু সমিতি ক্লাব ও পাঠাগার এ মিলিত হলেন উত্তরবঙ্গের মৃৎশিল্পীরা। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা ও জলপাইগুড়ির বিভিন্ন ব্লক থেকে আসা মৃৎশিল্পীরা তাদের ক্ষোভের কথা জানান তাদের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে। সংগঠনের জলপাইগুড়ি জেলা নেতৃত্ব রঞ্জিত বর্মন ক্ষোভের সুরে জানান মৃৎশিল্পীরা মূলত তাকিয়ে থাকেন শারদ উৎসব এর দিকে সারাবছর মূল রোজগার তারা দুর্গাপূজা কালীপূজা সময় করে থাকেন। শুধু মৃৎশিল্পী নয় কুম্ভকার যারা মাটির হাঁড়ি কলসি বানান তাদেরও উপার্জনের সময় এই উৎসবের মরসুম। করোনা অতি মারির কারণে গত দুই বছর ধরে উৎসবে ভাটা পড়েছে, গতবছর রাজ্য সরকার বিভিন্ন পূজা কমিটি কে অনুদান স্বরূপ ৫০০০০ টাকা দিলেও মৃৎ শিল্পীদের কথা একবারও তারা ভাবছেন না। এদিকে খর, বাঁশ, প্রতিমা তৈরীর উপকরণ মাটি সহ বিভিন্ন উপাদানের দাম বেড়ে গেলেও তারা তাদের তৈরীর প্রতিমা সহ বিভিন্ন মাটির সামগ্রীর দাম বাড়াতে পারছেন না পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির কারণে। রাজ্য সরকার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারি সাহায্য প্রদান করলেও তাদের জন্য কোনরকম প্যাকেজ বা সরকারি সাহায্য ঘোষণা করছে না। এমনকি বাম জমানায় মৃৎশিল্পীরা যে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পেয়েছেন সেই সুযোগ সুবিধা থেকেও তারা বঞ্চিত। এভাবে চলতে থাকলে আগামীতে তাদের প্রতিমা সহ বিভিন্ন মাটির সামগ্রী তৈরী করা অসম্ভব হয়ে উঠবে বলে জানান তিনি। তাই উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন মৃৎশিল্পী ও কুম্ভকার দের নিয়ে আজ তারা প্রথম সম্মেলন করে সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছেন মানবিক দৃষ্টিতে তাদের দিকে তাকানোর জন্য। এই পেশায় যারা যুক্ত তাদের পরবর্তী প্রজন্ম এই পেশায় যুক্ত হতে চাচ্ছেন না পরিশ্রম অনুযায়ী পারিশ্রমিক না পাওয়ার কারণে। তাই আগামীতে পশ্চিমবঙ্গের মৃৎশিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা সন্দিহান!
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন