হিঙ্গলগঞ্জে ইয়াশ বিধ্বস্ত এলাকায় একটু অন্যরকম ভাবে , একেবারে অন্যরকম মানুষের পাশে মানবিক মুখ

 হিঙ্গল গঞ্জে ইয়াশ বিধ্বস্ত একটু অন্য রকম অসহায় মানুষের পাশে , একটু অন্যভাবে মানবিক মুখ


বিশেষ প্রতিনিধি , হিঙ্গলগঞ্জ , ৩১ জুলাইঃ ইয়াশ ঝড়ে একেবারে বিধ্বস্থ সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা। অনেক এলাক্য মাথার যেমন ছাদ নেই। তেমনি নেই ন্যুনতম দৈনন্দিন জীবন ধারণের প্রয়োজনীয় জিনিষ কেনার সামর্থ। এই অবস্থায় বহু মানুষ এই সুন্দরবনের মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন ,নিজের মত করে । গত কয়েক দিন আগে হিঙ্গলগঞ্জে একটি স্বেচ্ছাসেবী দলের সঙ্গী হয়েছিলেন আমাদের প্রতিনিধি। তাঁর চোখে কি পরিস্তিতি , কেমন ভাবে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াবার চেষ্টা করছেন কিছু মানুষ । সেটাই তুলে ধরার একটা প্রচেষ্টা নিলেন।

  ইয়াশ ঝড়ের পরবর্তী পরিস্থিতি ও ঝড়ের বিধ্বংসী ধ্বংসলীলার  ভয়াবহতা এখনও চাক্ষুষ করা যায় হিঙ্গলগঞ্জ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গেলে। এছাড়া এই শতকের অন্যতম ভয়াবহ মহামারী করোনার প্রকোপে মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে, তার সাথে ঝড় -এই দুই আঘাতের ফলে মানুষের জীবন-জীবিকা ও আর্থসামাজিক পরিস্থিতি তলানিতে এসে ঠেকেছে। নদী বাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকায় নোনা জল ঢুকে গেছিল, ফলে এবছর চাষাবাদ প্রায় অসম্ভব।  সম্প্রতি অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান উদ্যমী ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন এর ফেসবুক পেজে হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের একজন সেখানে ত্রাণের জন্য অনুরোধ করেন এবং সেখানকার বাস্তব পরিস্থিতি তুলে ধরেন। সেখানে অধিকাংশ মানুষই কর্মহীন। তার সাথে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষ, বিধবা ও ট্রাফিক সারভাইভারদের পরিস্থিতি তুলে ধরেন। অনেকে আবার ভিক্ষাবৃত্তি করে কোনওরকমে জীবন ধারণ করছে। এই সকল মানুষের একমাত্র সম্বল সরকারের দেওয়া রেশন।

পরবর্তীতে বিশদে খোঁজখবর নিয়ে উদ্যমী ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন ত্রাণের জন্য উদ্যোগী হয়।  হার ফিউচার কোয়ালিসন'   এবং   উদ্যমী ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন এর যৌথ উদ্যোগে হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের বরুনহাট, কাটাখালি মাহমুদপুর -এর বিস্তীর্ণ এলাকার প্রায় ১০০ মানুষকে শাড়ি, মশারি, মহিলাদের অন্তর্বাস, হাওয়াই চটি প্রভৃতি জিনিস দেওয়া হয়। আনমোল  এই প্রচেষ্টায় তাদের বিস্কুট ও কেক দিয়ে সাহায্য করেছে। এক্ষেত্রে মহিলা প্রধান পরিবার, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষ, ট্রাফিক সার্ভাইভার ও অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এই ত্রানকার্য সম্পন্ন হয়েছে।

মন্তব্যসমূহ