রাজ্য জুড়ে চরম সতর্কতার সঙ্গে 'ইয়াস ' ঘুর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী থেকে প্রশাসনের সবাই

 রাজ্যে 'ইয়াস' ঘুর্ণিঝড় মোকাবিলায় তৈরি প্রশাসন

 


কুশল দাশগুপ্ত, কলকাতা ও  শিলিগুড়ি, ২৪ মেঃ সারা রাজ্য জুড়ে এখন চিন্তা ঘুর্ণিঝড় 'ইয়াস' নিয়ে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী প্রবল ঘুর্ণিঝরে রূপ নিয়েছে। আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা উড়িষ্যার ও বাংলার দীঘার কাছাকছি। এরপর এটি ঝাড়খন্ডের দিকে চলে যাবে বলে ধারণা আবহাওয়াবিদদের। যেখানে ঝড় আছড়ে পড়বে , সেই উপকুলবর্তি এলাকায় ঘন্টায় ১৮৫ কিমি বেগে ঝড় বইবে। অন্য দিকে কলকাতায় প্রবল বৃষ্টির পুর্বাভাস দিয়েছে আহবাওয়া দপ্তর। আগামী বুধবার এই ঝড় স্থল্ভাগে আছড়ে পড়বে। ।  রাজ্য প্রশাসন সব দিকে দিয়ে তৈরি। আগের আমফানের অভিজ্ঞতাকে সম্বল করেই প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে কেন্দ্র থেকে রজ্যে এসে পৌঁছেছে এন ডি আর এফ এর দল। কলকাতা পুরসভাও প্রস্তুতি নিয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজে উপস্থিত থেকে ঝড়ের গতিবিধির ওপর নজর রেখে বিপর্যয় মোকাবিলা করবেন।



এদিকে উত্তরবঙ্গেও প্রশাসনিক স্তরে চরম প্রস্তুতি চলছে।  ইয়াস নিয়ে শিলিগুড়ি পুরনিগমে জরুরি বৈঠকে বসল প্রশাসকমন্ডলী।এদিন বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে আলচনায় বসে শিলিগুড়ি পুরনিগমের প্রশাসকমন্ডলীর সদস্যরা।দীর্ঘক্ষন বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে পুর প্রশাসক গৌতম দেব বলেন, দু-তিনদিনের মধ্যে বাংলায় ইয়াসের প্রভাব পড়বে।এখানে ঝড়বৃষ্টি হলে তার সঙ্গে কিভাবে মোকাবিলা করা হবে তা নিয়েই এদিন আলোচনা হয়েছে।বিভিন্ন দপ্তরকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।পুরনিগমের তরফে বেশকিছু জলের ট্যাঙ্কার তৈরি রাখা হয়েছে জল সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে।পিএইচই থেকে প্রায় ১ লক্ষ জলের পাউচ প্যাকেট তৈরি রাখা হচ্ছে।যদি কোনোভাবে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয় সেই জল যাতে পৌঁছানো যায় বিভিন্ন এলাকায়।এছাড়াও পুরনিগমে একটি কন্ট্রোল রুমও খোলা হচ্ছে।পাশাপাশি খাবার সামগ্রীও তৈরি রাখা হচ্ছে।ঝড়ে কোথাও যদি গাছ পড়ে যায় সেক্ষেত্রে যাতে তড়িঘড়ি সেই গাছ কেটে যোগাযোগ স্বাভাবিক রাখা যায় সে প্রচেষ্টাও চালানো হবে বলে জানিয়েছেন গৌতম দেব।

মন্তব্যসমূহ