রবিবাসরীয় বেহালার দিন প্রতিদিন বিশেষ - বিশিষ্ট লেখক অনিরুদ্ধ বসু'র কলমে

বেহালার দিন প্রতিদিন বিশেষ 


                      আধ্যাত্মিক আত্মা



-

 অনিরুদ্ধ বসু



বন্ধুরা যখন 'আধ্যাত্মিক' অনুশীলনে ব্যস্ত, ওদের সেই আধ্যাত্মিকতার ডামাডোলে আমি দিকশূন্য। মূর্তিপুজার মন্ত্রোচ্চারণে ধুপ, ধোঁয়া, কাঁসরঘণ্টা, ফুল-বেল পাতা। 

পুজা শেষে কোনও প্রখ্যাত কম্পানির মেডিক্যাল রিপ্রেসেন্টেটিভ হীরের মালার ভেট দিতে বন্ধুবর আমাকে বলল “দেখ মায়ের কি করুণা। ভাবছিলাম বউয়ের জন্য হীরের মালা কিনব, মা বাড়ি বয়ে পৌঁছে দিলেন” পুজো ঘরের কালীমূর্তিতে মালাটা পরিয়ে বলল “মায়ের দান। মায়ের গলায় সঁপে দিলাম”

এমনিতেই আধ্যাতিকতার সিকিভাগও আমার মধ্যে নেই। তিলক, চরণামৃত আমার  কাছে লৌকিক আচার। মানে না বোঝা স্তোত্রেতে কনফিউজড। সবাই একাগ্র আধ্যাত্মিকতার সন্ধানে। এরা নিয়মিত পীঠস্থানে যায়। আবার ওষুধ কম্পানির স্পন্সারে সেক্স টুইজিমেও। বিশ্বাসের অভাব এবং শারীরিক অক্ষমতার জন্য এদের সঙ্গে তাল মেলান সম্ভব নয়। তাহলে আমি কোথায়? ঈশ্বর প্রাপ্তি বা আধ্যাত্মিকতা আমার জন্য নয়। না পারছি লোকাচার, বিশ্বাসে তাল মেলাতে, না পারছি অন্য কিছু ভাবতে। মন বলছে ‘হেথা নয়, হেথা নয়, অন্য কোথাও, অন্য কোনওখানে’

কোথায়? রবিবারে গির্জায় যাওয়া, দিনে চারবার নমাজ। এগুলো কী ঈশ্বর প্রাপ্তির পথ? 

লেখার সূত্রে, বিশেষ করে আমার দুটো উপন্যাস ‘ইটারন্যাল মেহেম’ আর ‘আলো আঁধার’ লেখার জন্য প্রচুর পড়াশোনায় একটু কিছু শিখেছি। ইটারন্যাল মেহেম যেহেতু জেনেটিক ক্লোনিং ও রেসিয়াল সুপিরীয়রিটির ওপর, তার মাইগ্রেশন জেনেটিক বিজ্ঞানের অঙ্ক পরিষ্কার। আদি অ্যাফ্রিকান কমিউনিটি উত্তরে সুজিয়ানায় গিয়ে এলামাইট ডিনেস্টি স্থাপন করে, যা সুমেরিয়ান সভ্যতার বুৎপত্তি। পরে দু-ভাগে বিভক্ত হয় - পূর্বে ইন্দো-এশিয়ান ও পশ্চিমে ইন্দো-ইউরোপিয়ান সভ্যতায়। এই আদি অ্যাফ্রিকান কমিউনিটি দক্ষিণ-পূর্বে কয়েকটি ভাগে বিভক্ত। দক্ষিণে অস্ট্রেলিয়ান অ্যাবরেজিনিস। উত্তরে  ভারতীয় ড্র্যাভেডিয়ান। এবং পূর্বে জাপান হয়ে বেরিং স্ট্রেট অতিক্রম করে নেটিভ অ্যামেরিকান। ওয়াই-লিঙ্কড হ্যাপলোগ্রুপ আর এমটি ডিএনএর মাধ্যমে তা প্রমাণিত।    ধর্মের বুৎপত্তি অ্যাফ্রিকান কমিউনিটির উত্তর মাইগ্রেশন থেকে। 

যদিও শাস্ত্রে বলে ধর্মের বুৎপত্তি সনাতন ধর্ম। আমার মতে আজিবক ধর্ম থেকে। আদি ইজমের হেটরোডক্স স্কুল থেকে যার সূত্রপাত, আজিবক ধর্মের বুৎপত্তি ৫০০০ বছর খ্রিস্টপূর্বে ম্যাকখালি গোশালার একদল নাস্তিক সদস্যদের নিয়ে শ্রমণা মুভমেন্টে। তাদের বিশ্বাস, ভাগ্যই জীবন গতির নিয়ামক। চেষ্টা বা সাধনার কোনও স্থান নেই। যদিও অনেক বইতে আজিবক ধর্ম, বৌদ্ধ বা জৈন ধর্মের সমসাময়িক বলে বর্ণিত, বৈজ্ঞানিক দিক দিয়ে মেটাফিজিক্যাল অ্যাটমিক থিওরি অনুযায়ী ওদের মুভমেন্ট কসমিক এনার্জির ওপর নির্ভরশীল। এই চিন্তাধারার ভিত আইনস্টাইনের ইউনিভার্সাল এনার্জি ট্র্যান্সফর্মেশনের ভিত্তিতে, যা এখন ব্ল্যাক হোল নামে প্রতিষ্ঠিত। এই এনার্জি ‘সোহম’ (সো+অহম) যখন  মিলে যায়, তখনই অধিষ্ঠিতে পৌঁছন যায়। অর্থাৎ আমিই তিনি। মানে ব্যক্তিগত এনার্জির সঙ্গে মাস এনার্জির মিলন। ওলটালে শব্দটা হয় হম-সা (হম+সা) বা হংস। রাজহাঁসের মতোই চেতনার বিচরণ। যার জাগতিক অর্থ আত্মার সঙ্গে মাস এনার্জির মিলন। ব্ল্যাক হোল থিওরি অনুযায়ী মৃত্যু শুধুই এনার্জির পরিবর্তন। 

জৈন ধর্ম, আজিবক ধর্মের শ্রমণা মুভমেন্টের উত্তরসূরি। মহাবীর, ভরধমান নামে ৫৯৯ বছর খ্রিস্টপূর্বে ৩০ বছর বয়সে আধ্যাত্মিকতার সন্ধানে সন্ন্যাসী হন। পরের সারে বারো বছর গভীর তপস্যা, প্রায়শ্চিত্তের মধ্যে কেভলি (সর্ব জ্ঞান সিদ্ধ) হন।

৫৬৩ বছর খ্রিস্টপূর্বে বৌদ্ধ ধর্মও সেই পথেই হাঁটে। মহাবীরের মতোই রাজত্ব, গৃহত্যাগ এবং অবশেষে পাঁচজন শিস্য (যারা বারানসিতে তাঁকে পরিত্যাগ করে) শেষমেশ সারনাথে গিয়ে আধ্যাত্মিক চেতনায় আলোকিত। ঠিক সেই সময় দুই উড়িয়া ব্যবসাদার (পালিভাষী) ও পথে যাচ্ছিল। তারা ওনাকে খাবার, জল দিলে, উনি নবলব্ধ মন্ত্র শোনান। ওনার উপলব্ধি দক্ষিণে শ্রীলঙ্কায় নিয়ে বৌদ্ধধর্মের ওপর প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ পালি ভাষায় রচিত। শুরু হয় ওনার চিন্তাধারায় হীনযান ঘরানা। অষ্টমাঙ্গিক মার্গের মূল মন্ত্র 'আত্মদীপো বিহরথ অওসরনা অনঞ্চ সরনা’। বিভিন্ন ধাপে তার উত্তরণ - অচৈতন্য, চৈতন্য, দৃষ্টি, প্রেম, দ্বন্দ্ব (আপেক্ষিক বা সত্তা), দহন, মুক্তি বা নির্বাণ এবং অধিষ্ঠিতি বা অনাপেক্ষিক অস্তিত্ব। এই উত্তরণের পথে নাস্তি, রাবণ, অসুর, শয়তান, রক্ষর সঙ্গে অস্তি, আত্মা, গো, সল (আরবি), আমিত্বের বিভিন্ন ধাপে টানাপড়েন। শেষমেশ অধিষ্ঠিতি। মানে ব্যক্তিগত এনার্জির সঙ্গে ইউনিভার্সাল এনার্জির মিলন। আজিবক বা আইনস্টাইনের ব্ল্যাক হোল কনসেপ্টে। আকার আপেক্ষিক। নিরাকারই ব্রহ্ম। 

গণ্ডগোল সাধল ভারতে প্রচলিত হিন্দু ধর্মের প্রতিপত্তি। গৌতম বুদ্ধ যখন রাজা প্রসেঞ্জিতের রাজ্যে অচিরাবতি নদীর ধারে, সাহেত ও মাহেত শহরে আশ্রয় নিল, আত্ম রক্ষার্থে প্রচলিত হিন্দু ধারায়  টিকে থাকার জন্য মূর্তি পুজোকে মেনে নিল। আরেক বৌদ্ধ ধারা শুরু হল। সংশোধিত হিন্দু ধর্ম - মাহাযান। ২৪ বছর ধরে ১০০০টি পদ্মের ওপর প্রচারের মধ্যে মূর্তি পুজোকে মানতে বাধ্য হল। সেটাই হল ধর্মের সর্বনাশ। নিরাকারকে আকারে বন্দি করতে গেলে যা হয়। পরমাত্মা কী জীবাত্মায় বিকশিত হতে পারে? 

৫০০ বছর পর ১৩ বছরের এক তরুণ সিল্ক রুট দিয়ে জেরুজালেম থেকে ভারতে আসে। স্বাভাবিকভাবেই পুরির গোঁড়া মোহান্তরা তাঁকে বিতাড়িত করলে ১৩ বছর ধরে সারনাথ, সিকিম, নেপাল, লে, লাদাক থেকে জ্ঞান আরোহণ করে ফিরে যায় জন্মভূমিতে। আজিবক, জৈন, বৌদ্ধ ধর্মের শিক্ষায় দীক্ষিত হয়ে মনুষ্যত্বের ভাষা বলতে। তাদানিন্তন রাজার সঙ্গে সংঘাত। সে, মা মেরি ও তার ১৩ জন বন্ধু দেশ থেকে বিতাড়িত। ফিরে আসে  সিল্ক রুট দিয়ে ভারতে। এবার শ্রীনগর। ইউজ আসাফ নামে রোজাবেলে মনুষ্যত্বের মন্ত্র শেখাতে। ৮০ বছর জীবৎকালে এক পুত্র সন্তান রেখে দেহত্যাগ করেন। মৃত্যুর ১৮০ বছর পর এক কাল্পনিক উপখ্যান লেখা হয় যীশু নাম দিয়ে যাকে আমরা বাইবেল বলেই জানি। এরাই পলিটিক্যাল আধিপত্যের জন্য রোমানদের স্যাটার্নালিয়া উৎসবের সঙ্গে যীশুর জন্মের গল্প ফাঁদে।

তথাকথিত যীশুর সমসাময়িক রোম সাম্রাজ্য ডামাডোলে। রোমানরা সূর্য দেবতার পুজো করত। ধুমধামে পার্টি, আনন্দ উৎসব, উপহার প্রদান স্যাটার্নালিয়া উৎসব হিসেবে পালিত (১৭ ডিসেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বর) যা পেগান ফেস্টিভ্যালের আকারে। শনির উপাসনা। কারণ শনি গ্রহই ইহলোক ও মহাবিশ্বের দ্বার রক্ষক। শনির আশীর্বাদ ছাড়া মহাবিশ্বে প্রবেশের লাইসেন্স নেই। আজও সেই প্রথা বর্তমান। জাজের কালো গাউন, ডিগ্রি নিতে হলে ছয়ভুজ টুপি ও কালো গাউন প্রহরীকে মনে করিয়ে দেয়। স্বীকৃতির জন্য শনির বরমাল্য প্রয়োজন। ইহলোক থেকে মহাবিশ্বলোকে। মৃত্যু কেবল এই যাত্রার ট্র্যাঞ্জিশন। বা এনার্জি পরিবর্তনের মধ্যস্থল। যা আইনস্টাইনের ভাষায় ব্ল্যাক হোল। 

পুজো করি না, চার্চে যাই না, নমাজ পরি না - ধার্মিক তো নই-ই। বরং বাহাউল্লার  (১৮১৭ - ১৮৯২) চিন্তাধারা ‘কসরৎ মেঁ ওহেদৎ’ (ইউনিটি ইন ডাইভার্সিটি) অনেক বেশি মনুষ্যত্বের কাছাকাছি। আমি তো বাহাই ধর্মের নই। তাহলে আমি কোথায়? 

একমাত্র হিন্দু ধর্মে মূর্তি পুজো ছাড়া প্রচলন অন্য কোথাও নেই। তাই আজিবক, জৈন, বৌদ্ধ, ইসলাম, খ্রিস্ট, বাহাই ধর্মের প্রতিপত্তি। প্রধান কারণ, কল্পনাপ্লুত মূর্তি ছেড়ে মনুষ্যত্বের আরাধনা। কাল্পনিক মূর্তির কাছে বশ্যতা, সোহমের কনফিডেন্স কেড়ে নেয়। দুর্বল করে দেয়। সংকীর্ণ বচসায় লিপ্ত করে ইনফিরিওরিটি কমপ্লেক্সের জন্ম দেয়, যা আধ্যাত্মিক আরোহণের পরিপন্থী। তার ওপর যদি আচার যোগ হয়, দ্বন্দ্ব অবশ্যম্ভাবী। আধ্যাত্মবাদ থেকে বিচ্ছিন্ন। আত্মার ধ্বংস। 

মানে ‘যত মত তত পথ’-এর মতো ধর্মতেও ধোঁয়াশার কুয়াশা। 

তাহলে আমি কোথায়? সীমা-অসীমের না-জানা ধোঁয়াশায়? এখনও অজানা, অচেনা। মাণ্ডুক্য উপনিষদের চেতনার ব্যাপ্তিতেও অসীম অজানা। জাগ্রত স্তরে তো কেবল নিজেকেই দেখা। অস্তিত্বের তারতম্য নামের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। অচৈতন্যের আরেক রূপ। স্বপ্নেও অর্ধ-চৈতন্য। ঘুমের আমি আর বাইরের তারতম্য ভেদে অপারগ। এ কোন আমি? গভীর সুপ্তিতে আমিটাই আচ্ছাদিত। দেহ, মন, ইন্দ্রিয় অস্তিত্বহীন। তুরীয়তে আত্মজ্ঞান জাগ্রত। আত্মা ব্রহ্ম মিলেমিশে একাকার। যেখানে নিদ্রা, জাগরণ আপেক্ষিক। 

তারও বাইরে মিনোস্কি ডায়াগ্রামের ‘এলস হোয়ার’। পরম রহস্যময়ের পথেই কী  আমার চেতনা? অনাধ্যাত্মিক আত্মা খুঁজছে সেই ‘এলস হোয়ার’? 

প্রজ্ঞানন ব্রহ্ম থেকে পাওয়া জাগ্রত চেতনার বিন্যাস। তার দৈহিক, মানসিক, আধ্যাত্মিক বিন্যাসেই সভ্যতা। পঞ্চেন্দ্রিয় মানে অজানা। জ্ঞান জানা। বিজ্ঞান ব্যাখ্যা। সত্ত, রজ, তম ক্রমশ অচৈতন্য থেকে চেতনায়। সীমার মধ্যেই অসীমকে পাওয়ার হাতছানি। এর বাইরে প্রাজ্ঞানম-ই চৈতন্যে উত্তরণ। ঋগ্বেদের ধ্রুবতারাই ব্রহ্ম কি না জানি না। মহাব্যোমে খোঁজা মানে জাগতিক বলয়ের বাইরে। সেই অজানায় কী চেতনার পূর্ণতা পাওয়া যায়? যদি মানুষ অমৃতাস্য পুত্রই হয়, ব্রহ্মাণ্ডের ইউনিভার্সাল এনার্জির একাংশ, তবে সে কোন অজানা অসীমে খুঁজবে উত্তরণের চেতনা? তা কী কেবল মুনি-ঋষিদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ? 

অহম ব্রহ্মাস্মি বলে, ঘুমের সময় বা সদ্য জাগ্রত শিশুর জাগরণেই অচৈতন্য। জানা নেই অস্তিত্ব। অথবা আধ-চৈতন্য স্বপ্নের ঘোর। জানা, কিন্তু দেখার ক্ষমতা নেই। জাগ্রত ‘চেতনা’ পঞ্চেন্দ্রিয়র আমিত্ব বাসনা। সীমার মধ্যেই খ্যাতি, দ্যুতি থেকে অবলুপ্তি। শিকল বাঁধা সাংসারিক বলয়ে আমিত্বের আস্ফালন। ব্যক্তি অহং ছেড়ে চেতনার মার্গে ছোটার চেষ্টা। ব্রহ্ম দর্শন, আত্মা। আমার আমিকে না বুঝে অনির্দিষ্ট অসীমের নামে খেলা। প্রকৃতির সঙ্গে একাত্মতার মধ্যেই অধিষ্ঠান। আমিই ব্রহ্ম, ব্রহ্মই আমি। মানে নিজের মহাবিশ্বের সঙ্গে মিলেই পূর্ণতা বা অধিষ্ঠিতি। আইনস্টাইনের ব্ল্যাক হোল বা এনার্জি কনভার্সন। 

অচেনা আমিকে দেখার মধ্যেই অসীমের স্বাদ। নিজেকে দেখা, চেনা, বোঝার মধ্যেই আলো। অসীমের আঁধারে নয়। আদেখা আমিকে দেখে ভয়কে জয়ের পথেই পূর্ণতা। সীমাহীন আকাশের অদৃশ্য কোণায় বা মন্ত্রোচ্চারণে নয়। সীমার বন্ধনে, চেতনার উন্মেষেই শান্তি। যেখানে বাহির আপেক্ষিক। চেতানাটাই বড়। বন্ধুবরদের মতো ধার্মিক উপঢৌকন নয়। 

বন্ধুকুলের আধ্যাত্মবাদের আড়ম্বরের লৌকিকতা প্রদর্শনের বাইরে, নিরাম্বর আমি। পুজো-পার্বণের মহাযজ্ঞ না করে, একান্ত নিভৃতে হুইস্কিতে চুমুক দিয়ে খুঁজে পাচ্ছি আমাকে। আমার মনুষ্যত্বকে। শনি কঠিন শিক্ষায় সেই জ্ঞান দিয়ে আমায় সমৃদ্ধ করেছে। ঈশ্বর না আধ্যাত্মিক আত্মা, সময় বলে দেবে। নিজের আলোয় দেখছি ইহলোক, পরলোক। সব লোকের সমন্বয়ে জাগ্রত অন্তরের মহালোক। অন্তরের প্রণবধ্বনি বোধহয় ক্ষীণ হলেও শুনতে পাচ্ছি। মনকে নিতে ইহলোকের স্বপ্নমহলে। অগম্য পরম প্রশান্তিময় ভূলোকে।

মন্তব্যসমূহ