রবিবাসরীয় সাহিত্যের দিন প্রতিদিন - লেখক সন্দীপ চক্রবর্তীর এক নতুন ধারার সাহিত্যগাথা / সুচনা পর্ব আজ

 

রবিবাসরীয়   ধারাবাহিক 


 আধুনিক বাংলা সাহিত্যের নবীন লেখক সন্দীপ চক্রবর্তী । সন্দীপ লেখেন, নিজের অনুভুতি দিয়ে। সেখানে পাওয়া যাবে নিজেকে খুঁজে। বর্তমানে সন্দীপ একটি সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদকীয় বিভাগের অন্যতম ।সন্দীপের  প্রতিটি অক্ষরের মাঝে লুকিয়ে থাকে সমাজের চালচিত্র। আজ থেকে শুরু হচ্ছে এই সমাজের কথকতা। একেবারে নতুন এক আঙ্গিক। সন্দীপের ভাষায় জেনে নেওয়া যাক সেটি কেমন   । 

                তুঁহু মম

 

সন্দীপ চক্রবর্তী

মেসেঞ্জারে এক বন্ধু জানতে চেয়েছেন, আমার কোনও সাড়াশব্দ নেই কেন? মানছি, দু'সপ্তাহ ছুটি একটু বেশিই। কিন্তু বাইরে এত বেশি হইচই যে নতুন লেখার জন্য আমি নিজেকে ঠিক গুছিয়ে নেবার অবসর পাচ্ছিলাম না। শেষ পর্যন্ত অবশ্য অনেক সাধ্যসাধনার পর একটা আইডিয়া মাথায় এসেছে। তবে আইডিয়াটিকে একটি পূর্ণাঙ্গ রচনার আকারে হাজির করলে আপনাদের কেমন লাগবে সে ব্যাপারে আমি খুব একটা নিশ্চিত নই। 

  প্রথমেই বলি, এই লেখাটিকে আমি উপন্যাস বলতে নারাজ। বড়গল্প বলা যেতে পারে। গল্পের নাম তুঁহু মম। চরিত্র দুটি। অর্জুন দাশগুপ্ত আর কুমুদিনী মিত্র। অর্জুনের বয়েস পঁয়ত্রিশ। কুমুদিনী আঠাশ। অর্জুন পেশায় পুরাতত্ত্ববিদ। আপাতত হরিয়ানার কাছে অতীব গুরুত্বপূর্ণ খননকাজে ব্যস্ত। কুমুদিনী একজন মনোবিদ। সে গেছে কলম্বোয়। একটি সেমিনারে বক্তৃতা দিতে। কুমুদিনী মনের ডাক্তার হলেও ভালো রবীন্দ্রসঙ্গীত গায়। দক্ষিণীর ছাত্রী ছিল। রবীন্দ্রগানের একটি অনুষ্ঠানেই অর্জুনের সঙ্গে কুমুদিনীর পরিচয়। 

  এবার আসি গল্পের সময়কাল প্রসঙ্গে। এই গল্পের সময়কাল ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে জুন। অর্থাৎ যে সময়ে আমাদের দেশে লকডাউন ছিল। অর্জুন হরিয়ানায় আর কুমুদিনী কলম্বোয় গৃহবন্দি। নিঃসঙ্গতা থেকে মুক্তি পেতেই ওরা একে অপরকে প্রতিদিন ইমেল করতে শুরু করে। এমনি করে মৃত্যুভয়ে দিশেহারা এক পৃথিবীর বুকে খুঁজে নেয় ওদের নিজস্ব ভুবন। 

  এই গল্পে লেখকের কোনও ন্যারেটিভ নেই। আছে শুধু একটার পর একটা ইমেল। সেইজন্য গোড়াতেই বলে রেখেছি, জানি না আপনাদের ভালো লাগবে কিনা! তবে একটা কথা জোরের সঙ্গে বলতে পারি। একটা নিখাদ প্রেমের গল্প লিখতে আমি আপ্রাণ চেষ্টা করব। ভালো থাকবেন।

মন্তব্যসমূহ