চরম অব্যবস্থা মালদা মেডিক্যালের ফ্লু সেন্টারে,করোনা টেস্ট না করেই পজেটিভ লেখার অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদা : চরম অব্যবস্থা মালদা মেডিকেল এর ফ্লু সেন্টারে। আজ থেকে বন্ধ হয়ে গিয়েছে মালদা এসপি বাংলোর পার্শ্ববর্তী করোনা পরীক্ষা শিবির। স্বাভাবিকভাবেই ভীড় উপচে পড়ছে মালদা মেডিকেলে। কাকভোর থেকে শুরু হচ্ছে নাম লেখার পর্ব। শুধু নাম লেখায় শেষ কথা নয়, লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে প্রথমে নামমাত্র ডাক্তার দেখা আর তারপরে বেলা ঘুরলে শুরু হচ্ছে করোনা পরীক্ষা। করোনা পরীক্ষা করাতে গিয়ে অদ্ভুত এক অভিজ্ঞতার কথা জানালেন মালদা ইংলিশ বাজারের কুড়ি নম্বর ওয়ার্ড, সর্বমঙ্গলা পল্লীর বাসিন্দা এক মহিলা সোমা মৈত্র। সকালে গিয়ে ২৮ নম্বরে নাম নথিভুক্ত করেছেন লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি তার মে কে নিয়ে। কোন উপসর্গ নিয়ে নয়, বাড়িতে করণা আক্রান্ত তার স্বামী আর সেই কারণেই মেয়েকে পরীক্ষা করতে নিয়ে গিয়েছিলেন মালদা মেডিকেলে ফ্লু সেন্টারে। ডাক্তার কোন উপসর্গের কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন কোন উপসর্গ নেই শুধুমাত্র বাড়িতে কোভিড আক্রান্ত রোগী রয়েছে তাই টেস্ট করাতে এসেছেন মেয়ের। শোনা মাত্রই ডাক্তারবাবু প্রেসক্রিপশনে পজেটিভ লিখে দেন। এবং দুপুর দেড়টার সময় টেস্ট করতে আসার জন্য বলেন। সেই মহিলা পরবর্তীতে আবার ডাক্তারকে গিয়ে বলেন টেস্ট না করেই কি করে ডাক্তারবাবু পজেটিভ লিখে দিলেন। মেলেনি কোনো সদুত্তর। বরঞ্চ এমনই ভাব প্রকাশ করে বলা হয় বাড়িতে কোভিড আক্রান্ত রোগী রয়েছে সেই কারণেই পজেটিভ লেখা। প্রেসক্রিপশন ফেরত চাইলে সেই মহিলাকে তা ফেরত দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এমনও বলা হয় সেখানে পজিটিভ লেখা থাকাতে কোন অসুবিধের কারণ নেই। ছবি প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই মহিলার অভিযোগ কেনই বা টেস্ট না করে পজেটিভ লেখা হলো প্রেসক্রিপশনে। এই ভাবেই চলছে মালদা মেডিকেলে বিভ্রান্তিমূলক টেস্ট। উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে পার পেয়ে যাচ্ছেন অনেকেই। তবে কোথায় যাবেন সাধারন মানুষ? তবে কি কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে পজিটিভ লেখার পেছনে, প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। করোনা মহামারীতে আতঙ্কিত মানুষ। আর এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরের এমন ছবি রীতিমতো আতঙ্ক সৃষ্টি করছে মানুষের মনে। বলাই বাহুল্য টেস্ট নিয়ে চরম অব্যবস্থা মালদা মেডিকেলের ফ্লু সেন্টারে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন