করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে হিমসিম উওরবঙ্গের স্বাস্থ্য কর্তারা, করলেন জরুরী বৈঠক

 

উত্তরবঙ্গে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে বেশ কিছু জরুরী ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন 



 কুশল দাশগুপ্ত , জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়ি , ২০ এপ্রিলঃ প্রতিদিনই দেশে ও রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।এই পরিস্থিতিতে শহরবাসীকে মাস্ক পড়ার আবেদন জলপাইগুড়ি পৌরসভার। জলপাইগুড়ি জেলায় প্রতিদিনই ৫০ জনের বেশী করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন।শহরেও বাড়ছে পজেটিভ রোগীর সংখ্যা।ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি পৌরসভার তরফে ফের স্যানিটাইজেশনের কাজ শুরু করা হয়েছে। পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য সৈকত চ্যাটার্জি বলেন, মাস্ক ছাড়া কেউ বাইরে বের হবেন না।শহরবাসীকে সবসময় হাত স্যানিটাইজ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা বলেন তিনি।

সোমবার জরুরী বৈঠকে বসলেন স্বাস্থ্য কর্তারা।সোমবার দুপুরে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে বৈঠকে বসেন স্বাস্থ্যকর্তারা।বৈঠকে দার্জিলিং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সহ উত্তরবঙ্গের ওএসডি(কোভিড ১৯)ডাঃ সুশান্ত রায় এবং উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আধিকারিকেরা উপস্থিত ছিলেন।এদিনের বৈঠকে কিভাবে দার্জিলিং জেলায় করোনা মোকাবিলা করা যায় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। জরুরী বৈঠকে শিলিগুড়িতে করোনা পরিস্তিতিকে সামাল দিতে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  বৈঠক শেষে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন ডাঃ সুশান্ত রায়।তিনি জানান,উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে একটি কোভিড ব্লক করা হয়েছিল কিছুদিন আগে।সেখানেই চিকিৎসা করা হচ্ছে।এখানে ১১০টি বেড রয়েছে।আরও ৯০টি বেড বাড়ানো হচ্ছে।হাতিঘিসাতে একটি সেফ হাউস রয়েছে এবং ইনডোর স্টেডিয়ামে ফের সেফ হাউস খোলা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ইনডোর স্টেডিয়ামে বহুদিন আগে সেফ হাউস খোলা হলেও পরবর্তীতে করোনা রোগী সংখ্যা কমে যাওয়ায় তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।সেখানে ফের সেফ হাউস খোলার ব্যাপারে এদিন আলোচনা করা হয়।আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই এর কাজও শুরু হয়ে যাবে বলে জানা গিয়েছে

অন্যদিকে ডাঃ সুশান্ত রায় আরও জানান, যেভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তাতে সকলকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে,সতর্ক থাকতে হবে।শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।

মন্তব্যসমূহ