শুভেন্দুর তোপের অভিমুখে মমতা

 

একের পর এক অস্ত্রের ঝনঝনানি, শুভেন্দুর তোপে তৃণমূল সুপ্রিমো



বিশেষ সংবাদদাতা , মেদিনীপুর , ১৭ জানুয়ারিঃ একেবারে ঝাঁঝালো হয়ে উঠেছেন প্রাক্তন তৃণমুল নেতা।   ‘তৈরি করেছিলেন রাজীব গান্ধী, আশ্রয় দিয়েছিলেন’ অটলবিহারী বাজপেয়ী। ভারতবর্ষের সবথেকে সুবিধাবাদী দল তৃণমূল এবং তার নেত্রী।  চন্দ্রকোনা পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত খেজুরডাঙ্গা মাঠে বিজেপির জনসভা ও যোগদান মেলার সভা মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান কারী প্রাক্তন মন্ত্রীর দাবি,‘ কংগ্রেস এবং বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সাংসদ এবং মন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজীব গান্ধী তাঁকে ‘তৈরি করেছিলেন’। আশ্রয় দিয়েছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী। এরপর শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য,“ওই দলের (তৃণমূল) থেকে বিশ্বাসযোগ্যতার সার্টিফিকেট শুভেন্দু অধিকারীকে নিতে হবে, কোনও ভাবেই সম্ভব নয়।”

জনসভা থেকে শুভেন্দু একাধিক বিষয়ে আক্রমণ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সভায় শুভেন্দু বলেন,“এতদিন বলতেন সব কাজ হয়ে গিয়েছে। তা হলে ভোটের মুখে স্বাস্থ্য সাথীর নামের ঢপের চপ কেন? শুভেন্দু দাবি, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এ কেউ চিকিৎসা পাচ্ছেন না। মুখ্য সচিব ,স্বাস্থ্য সচিব হাসপাতাল নার্সিং হোম গুলিকে ডেকে চুপিসারে বলছেন তিন মাস ‘দেখে’ দেওয়ার।” 

শুভেন্দু অধিকারীর দাবি,“একটি সরকারি সভা করলে ২ কোটি টাকা সরকারের। ইতিমধ্যে দুই হাজার কোটি টাকা চলে গিয়েছে। শুধু মাত্র প্রশাসনিক সভায় নামে বক্তৃতা করা, প্রধানমন্ত্রীকে তুই-তোকারি করা।”


এদিন শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও জনসভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সহ- সভাপতি ভারতী ঘোষ, ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার পর্যবেক্ষক নীলাঞ্জন অধিকারী সহ অন্যান্য নেতৃত্ববৃন্দ।

মন্তব্যসমূহ