লক্ষ্মীপুজো বিশেষ
কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর যোগাড় করতে হিমসিম গৃহস্থ, ফল - সব্জী আকাশ ছোঁয়া
বিশেষ সংবাদদাতা , কলকাতা ও শিলিগুড়ি, ২৯ অক্টোবরঃ রাত পোহালেই কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো। বাঙ্গালীর ঘরে ঘরে পুজীতা হবেন ধন ও ঐশ্বর্যের দেবী। মাকে আরাধনার জন্য যে , যেরকম ভাবে পারেন যোগাড় করে থাকেন। ফল মুল , যেমন থাকে তেমনি থাকে ভোগ দেবার প্রথাও। এবার একদিকে করোনার মহামারীতে মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব খারাপ। তাঁর ওপর এই আয়োজন। কলকাতার লক্ষ্মী পুজোর বাজার এতটাই চড়া , যে সাধারণ মানুষের কাছে ফল থেকে সব্জী, সবই ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এবার ছাঁচের ঠাকুরের দাম গড়ে ৩৫ থেকে ৫০ শতাংশ বেড়েছে। কলাগাছের তৈরি , বা ধানের গোছা ( ধান্য লক্ষ্মী) দাম বেড়েছে গড়ে ৫০ শতাংশের বেশি। ফলের দাম বেড়েছে গড়ে ৩০ শতাংশ। সব্জীর দাম বেরেছে ৩৫ শতাংশ। এই বৃদ্ধি গত দু'দিন ধরে উর্ধমুখী। নারকেল নাড়ুর সাইজে ছোট হলেও প্যাকেটে বেড়েছে ১ টাকা। নারকেল আকাশ ছোঁয়া। একটা ছোট নারকেল , যা ছিল ১৫ থেকে ২০ টাকার মধ্যে , সেটি আজ সকালের বাজার ত্রিশ বা চল্লিশ। এত গেল দক্ষিণবঙ্গের কথা । এবার তাকানো যাক উত্তর বঙ্গের দিকে।
বিধান মার্কেটে চড়া দাম সবজীর নাভিশাস উঠেছে সাধারণ মানুষের।শিলিগুড়িতে আগুনের দাম সবজীর।শিলিগুড়ির সব বাজারেই আগুনের মতো দাম সবজীর।যে বাজারেই যাওয়া হোক সবজীর দামের সাথে পেরে উঠছে না শিলিগুড়ির মানুষ।শিলিগুড়ি শহরে বেশ কয়েকটি বড় বাজার আছে।প্রত্যেকটি বাজারেই আগুনের মতো দাম সবজীর।বেগুন,পটল এবং আলুর দাম আকাশ ছুয়ে গেছে।কোথাও কোথাও দাম কম হলেও সবজীর মান খারাপ থাকাতে বেশী দাম দিয়েই সবজী কিনছেন মানুষ।এক সবজী ব্যাবসায়ী জানালেন গোটা শিলিগুড়ি শহরে কোথাও তিরিশ টাকার নীচে সবজী পোয়া নেই।ফলে ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়ের সমস্যা বাড়ছে।এত দাম কেন সবজীর?উততরে এক ব্যাবসায়ী জানালেন মুলত ট্রেনের বন্ধ থাকাই সবজীর দাম বৃদ্বির মুল কারন।কারন বর্ধমান,কাটোয়া এবং কালনা থেকে উত্তরবঙ্গে প্রচুর সবজী আসে।সেটা বন্ধ থাকায় সবজীর দাম চড়া হয়ে গেছে।কবে থেকে কমবে দাম সবজীর?সঠিকভাবে বলতে পারছেন না কেউই।করোনা আবহে ওলটপালট হয়ে গেছে সবকিছু,বাদ যায় নি সবজীও।বিগত পঞ্চাশ বছরে এত বাড়ে নি সবজীর দাম,এখন সবজী ছেড়ে মাছের দিকেই ঝুকছেন অনেকে।যারা নিরামিষ খান সসমস্যা বেড়েছে তাদেরই।কাজেই এখন একটাই কাজ অপেক্ষা করা।আর অন্য রাস্তা দেখছেন না শিলিগুড়ির মানুষ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন