দিন প্রতিদিন বিশেষ

 


 রবীন্দ্রনাথ  বৃক্ষরোপন ও হলকর্ষণ  উৎসব প্রচলন করেছিলেন পরিবেশ রক্ষার জন্য

                                                 

 ( শান্তিনিকেতনের পরিবেশ রক্ষার জন্য বর্ষায় রবীন্দ্রনাথ প্রচলন করেছিলেন হলকর্ষণ ও বৃক্ষরোপণ উৎসব। সেই বিষয় নিয়েই লিখলেন প্রবীন আশ্রমিক সুমিত্রা খাঁ  )

 

পরিবেশ রক্ষায় এক বিশেষ বার্তা বহন করে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ পরিকল্পিত বৃক্ষরোপণ ও হলকর্ষণ উৎসব।

          পৌরাণিক ঋতু উৎসবের প্রতি কবির ছিল আকর্ষণ। শুরু হয় ঋতু উৎসব শান্তিনিকেতনে। ঋতু উৎসবের একটি হল বর্ষা উৎসব। বর্ষা উৎসবের সঙ্গে কবি সংযোজন করেন আরও দুটি উৎসব – বৃক্ষরোপণ ও হলকর্ষণ।

          বৃক্ষরোপণ উৎসব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ''অপব্যায়ী সন্তান কতৃক লুণ্ঠিত মাতৃভাণ্ডার পূরণ করবার কল্যান উৎসব''। আজও  বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানের শোভাযাত্রায় গাওয়া হয় ''মরু বিজয়ের কেতন উড়াও শূন্যে''

         শান্তিনিকেতনে প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে বৃক্ষরোপণ উৎসব উপলক্ষ্যে কবি প্রশস্তি রচনা করেন পঞ্চভূতে। ক্ষিতি  (বক্ষের ধন হে ধরণী...), অপ (হে মেঘ, ইন্দ্রের ভেরী বাজাও গম্ভীর মন্দ্রস্বনে), তেজ ( সৃষ্টির প্রথম বানী তুমি,হে আলো...),  মরুৎ (হে পবন, কর নাই গৌণ......) , ব্যোম (আকাশ, তোমার সহাস উদার দৃষ্টি...)

এই পঞ্চভূতের প্রশস্তির মধ্য দিয়ে খুঁজে পাই প্রকৃতিপ্রেমিক রবীন্দ্রনাথকে। বৃক্ষরোপণ উপলক্ষ্যে কবি লেখেন ''আয় আমাদের অঙ্গনে''

 

কবি পরিকল্পিত হলকর্ষণ উৎসবের অন্তরের কথাটি অবহেলিত পল্লী ও পল্লীবাসীর সঙ্গে এবং প্রধান জীবিকা কৃষির সঙ্গে সর্বসাধারণের যোগস্থাপন।

                               হলকর্ষণ উৎসবে যে গানগুলি গাওয়া হয় -

              ''ফিরে চল মাটির টানে...''

              ''আমরা কাজ করি আনন্দে...''

              ''কোন পুরাতন প্রানের টানে......''

 

                                                                                                       

মন্তব্যসমূহ