উত্তরবঙ্গের খবর ঝলক ঃ
করোনায় মৃত্যুতে আতঙ্ক শিলিগুড়িতে
নিজস্ব সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি, ৩০ জুনঃ
গতকাল দুজনের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়ালো গোটা শিলিগুড়ি শহরে।তারমধ্যে দেশবন্ধুপাড়ার এক মহিলা করোনায় সংক্রমিত হয়ে মারা যাবার খবরে চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়।উত্তরবংগ মেডিক্যাল কলেজের এক ব্যক্তিও গতকাল মেডিক্যাল কলেজের আইসোলেসনে থাকবার পরে গতকাল তার মৃত্যু ঘটে।গোটা শিলিগুড়ি শহরে বাড়ছে করোনার সংক্রমন,আর এটাই চিন্তা বাড়িয়েছে মানুষের সোমবার শিলিগুড়ির বিভিন্ন ওয়ার্ডে নতুন করে আঠাশ জন করোনা সংক্রামন হবার পরে চিন্তা আরো বেড়েছে শিলিগুড়িবাসীর।অন্যদিকে জলপাইগুড়িতে নতুন করে নতুন বারো জনের শরীরে করোনার সংক্রমন পাওয়া গেছে।এই নিয়ে জলপাইগুড়িতে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন সাড়ে তিনশো জনের মত।বর্তমানে জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতালে ভর্তি আছেন কুড়িজনের মতন।যেভাবে শিলিগুড়ি এবং জলপাইগুড়িতে যেভাবে সংক্রমন বাড়ছে তাতে চিন্তা বেড়েছে রাজ্য সাস্থ্য দপ্তরের।
বাসে যাত্রী নেই পরিষেবা বন্ধ হয়ে যেতে পারে এন বি এস টি সি'র
নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি, ৩০ জুনঃ গত তিনচার দিন থেকেই একেবারেই যাত্রীছাড়া চলছে উত্তরবঙ্গ পরিবহন নিগম ।এই ব্যাপারে এন বি এস টি সির এক আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলার জন্য জিঞ্জাসা করা হলে তিনি জানান আমাদের কাছে যা তথ্য আছে তাতে খুলবার পরে এন বি এস টি সি লোকসানে চলছে আশি ভাগ।এইভাবে চললে অচিরেই বাস বন্ধ করে দিতে হবে।আর বাসচালকেরাও বাস চালাতে চাইছেন না,কারণ বাসে যাত্রী উঠছে মাত্র কুড়ি থেকে তিরিশ জন।এই কুড়ি তিরিশ জনের কাছ থেকে বাড়তি কোন টাকা নেওয়া হচ্ছে না,সরকারী নির্দেশের কারনে,কিন্তুু এইভাবে চললে পরিসেবা অচিরেই বন্ধ করে দিতে হবে।প্রতিটি টিকিট কাউণ্টারে গিয়ে দেখা গেছে সেখানে দুতিন জনের বেশী লোক নেই আর এই লোকসানে চলা বাসগুলিকে চালাতে চাইছেন না বাসচালকেরা।এদিকে তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনার্সে প্রায় অচল বাস পরিষেবার সঙ্গে সঙ্গে মাথায় হাত দিয়েছেন সেখানকার ছোট ছোট ব্যাবসায়ীরা, কিভাবে তারা এই ব্যাবসা চালাবেন তা নিয়ে মাথায় হাত পড়েছে তাদের।সবমিলিয়ে উত্তরবঙ্গের বাসের ভবিষ্যত একেবারেই অন্ধকারে তা একেবারে না দেখেই বলতে পারা যায়।
দার্জিলিং কার্শিয়াং এর মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
নিজস্ব সংবাদদাতা , শিলিগুড়ি, ২৯ জুন:- ধ্বস নামার জেরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল দার্জিলিং কার্শিয়াং এর। এদিন ৫৫নম্বর জাতীয় সড়ক যাওয়ার পথে পাগলাঝোড়া জলপ্রপাতের কাছে রাস্তা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। যার জেরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে রয়েছে কয়েকশো গাড়ি, দুর্ভোগের শিকার যাত্রীরা। প্রশাসনের তরফে রাস্তার দু'পাশে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে।ফলে যারা নীচে নেমে বাস কিংবা ট্রেন ধরতে চান তারা নিদারুন সমস্যার মধ্যে পড়ে গিয়েছেন।কবে এই যাতায়ত ব্যাবস্থা ঠিক হবে জানতে চাওয়া হলে সেখানকার দুই স্থানীয় যুবক জানালেন ধসের কারনে এমনভাবে পাথর এবং বালি নেমে এসেছে যে যে বালি এবং পাথর যারা সরাতে আসছেন তারাই সমস্যায় পড়ে গেছেন ফলে রাস্তা সারাতে বেশকিছুদিন সময় লেগে যাবে। এদিনও বেশ কিছুগাড়ি নীচে নামতে এসে বেশ কিছুক্ষন অপেক্ষা করে ফিরে যায়।
নিজস্ব প্রতিনিধি , শিলিগুড়ি,৩০ জুনঃ শিলিগুড়িতে বাড়ছে অন্যান্য রোগীর সংখ্যাও চিন্তায় রোগীর পরিজনেরা।করোনা আতঙ্কে প্রায় ভুলতে বসেছে অন্যান্য রোগীদের চিকিৎসা,ফলে সমস্যায় রোগীর পরিজনেরা।শিলিগুড়ির সবজায়গাতেই চিকিৎসা বিভ্রাটে ভুগছেন অন্যান্য রোগীরা,ফলে সমস্যায় তাদের সঙ্গে তাদের আত্মীয়রাও।শিলিগুড়ি হাসপাতাল কিংবা নার্সিংহোম কোথাও চিকিৎসা করা হচ্ছে না অন্যান্য রোগীদের,শিলিগুড়ির বিভিন্ন জায়গা থেকে হার্ট,প্রেসার এবং সুগারের রোগীরা আসছেন,এসে ফিরে যাচ্ছেন ডাক্তার না দেখার কারনে,এইভাবে দিনের পর দিন এইভাবে ফিরে যেতে যেতে ক্ষুদ্ব রোগীরা,প্রেসারের রোগীরা জানাচ্ছেন তাদের প্রেসার চেক করা হচ্ছে না,ফলে ওষুধ খেতে পারছেন না ঠিকমত,একই সমস্যা অন্যান্য রোগের ক্ষেত্রে ঠিকমত ডাক্তার না দেখবার কারনে ওষুধও কিনতে পারছেন না রোগীরা.এদিকে ডাক্তার কেন আসছেন না জিঞ্জাসা করলে নার্সিংহোম এবং হাসপাতাল থেকে বলা হচ্ছে ছুটিতে আছেন দুদিন পরে আসুন।এইভাবে দিনের পর দিন ফিরে যেতে যেতে হতাশ অন্যান্য রোগী এবং তাদের আত্মীয়রা তারা জানাচ্ছেন এইভাবে চললে আমাদের বেচে থাকাই মুষ্কিল হয়ে যাবে। এই নিয়ে বেশ কিছু হাসপাতালের আধিকারিকদের সঙ্গে কথাও বলেছেন রোগীরা। আবেদনও করেছেন সুষ্ঠু চিকিৎসা পাবার।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন